‘একসময়ের অশ্লীল চলচ্চিত্র বানানো প্রযোজকদের চিহ্নিত করতে হবে’

বাবা ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’–এর অন্যতম প্রযোজক। মা পুরোদস্তুর গৃহিণী। মা–বাবা কেউ চাননি, অভিনয়ে আসুক তাঁদের সন্তান। কিন্তু ১৯৭২ সালের ২৪ জুন ‘আমার জন্মভূমি’ চলচ্চিত্রে শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান আলমগীর। এরপর কীভাবে যে অভিনয়ের ৫০ বছর পার করে দিয়েছেন, টেরই পাননি। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর ব্যবসায়িক কার্যালয়ে বসে আলমগীর শোনালেন পাঁচ দশকের অভিনয় জীবনের গল্প।

এখনকার চলচ্চিত্র নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেল আলমগীরের কণ্ঠে, ‘অনেক দিন হলো দেশে পারিবারিক ছবির অভাব দেখতে পাচ্ছি। গ্রামীণ ছবির অভাব। অ্যাকশন ছবির অভাব। আমাদের আসলে কোনো কিছুই হচ্ছে না। যা হচ্ছে, তা–ও কিছুই হচ্ছে না। কী বানাচ্ছে এসব!  ভালো পরিচালকদের দিয়ে ভালো গল্প নিয়ে ছবি বানালে বাংলাদেশি দর্শক দেখবেনই। হলে হুমড়ি খেয়ে পড়বেনই।’

এখন দুরবস্থা চললেও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে স্বপ্নের কথা শোনালেন আলমগীর
ছবি: সংগৃহীত

এখন দুরবস্থা চললেও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে স্বপ্নের কথা শোনালেন আলমগীর, ‘একটা সময় দেশে সিনেমা হল ছিল ১ হাজার ৪০০। এখন হয়েছে ১০০–এর নিচে। এটা তো দেখতে চাইনি। দেখতে চেয়েছিলাম, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নেওয়ার জন্য  পৃথিবীর বড় বড় ডিস্ট্রিবিউটররা এখানে এসে বসে থাকবেন। সেটা তো হয়নি। হবেও না হয়তো কোনো দিন। তবে আমরা বাঙালি, এক জনের ডাকে ৯ মাসে যখন দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি, এটাও বিশ্বাস করতে চাই, চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়াতে পারব। বিদেশি ডিস্ট্রিবিউটর না এলেও আমাদের ডিস্ট্রিবিউটররা, হলমালিকেরা ঢাকায় এসে বসে থাকবেন ছবি নেওয়ার জন্য।’

অশ্লীল নির্মাতাদের থেকে সাবধান থাকতে বলে আলমগীর আরও বলেন, ‘একসময়ের অশ্লীল চলচ্চিত্র বানানো প্রযোজকদের চিহ্নিত করতে হবে। তাঁরা অবশ্য চিহ্নিত, তাঁদের থেকে ইন্ডাস্ট্রির সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। চলচ্চিত্রের কাঁটাও চলে, ক্লকওয়াইজ। ঘড়ির মতো। দিন, রাত দুটোই থাকে। এখন যদি রাত হয়, দিনের আশা তো করতেই পারি।’