এবার ধলেশ্বরী নিয়ে তানভীর মোকাম্মেলের ছবি

ধলেশ্বরীর নদী পাড়ে বসবাস করেন সাইদুর রহমান বয়াতি। তার সঙ্গে কথা বলছেন নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল
ছবি: ফেসবুক

যমুনা, মধুমতী, চিত্রা, কর্ণফুলী ও রূপসার পর এবার ধলেশ্বরীতে দৃষ্টি ফেরালেন তানভীর মোকাম্মেল। নদীটি নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানাচ্ছেন পরিচালক। ‘ধলেশ্বরীর কথা’ নামের সেই তথ্যচিত্রের গবেষণাকাজের প্রয়োজনে শুরু হয়েছে অডিও–ভিজ্যুয়াল প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহের কাজ। পরে নদীর সঙ্গে জড়িত মানুষের জীবনযাত্রাকে তুলে ধরতে ধলেশ্বরীর উৎস থেকে শুরু করে পুরো নদীপথ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ক্যামেরা নিয়ে ঘুরবেন এই নির্মাতা।

২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ‘ধলেশ্বরীর কথা’র অডিও–ভিজ্যুয়াল শুটিং
ছবি: ফেসবুক

২৩ নভেম্বর থেকে অডিও–ভিজ্যুয়াল শুটিং শুরু হয়েছে। মূল পর্বের শুটিং আরও কিছুদিন পর শুরু হবে। সিনেমাটির সহকারী পরিচালক সন্দীপ মিস্ত্রি বলেন, ‘মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ পুরো নদী এলাকায় আমরা শুটিং করব। সেই জন্য নদী অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। তাঁরা তাঁদের সংকট তুলে ধরছেন। তবে তথ্যচিত্রের গল্পটা শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে, এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ, এটা পুরোটাই বাস্তব প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে।’

ধলেশ্বরী পাড়ের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলছেন নির্মাতা
ছবি: ফেসবুক

তানভীর মোকাম্মেলের বরাত দিয়ে মিস্ত্রি বলেন, ‘বর্তমানে নদীতে অনেক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে, কোথাও চর জেগে উঠছে, কোথায় অপরিকল্পিত বাঁধ, সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। কোথাও ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব কারণে জেলে, কৃষক, ভাসমান মানুষ এবং সর্বোপরি নদী অঞ্চলের মানুষদের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন হচ্ছে। নদী অঞ্চলের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেই আমরা রিসার্চ করছি। সেভাবেই আমাদের শুটিং হবে। এখান থেকে উত্তরণের পথ কী হতে পারে, সেই বিষয়ে দর্শক আলাদা একটি বার্তা পাবে।’

ধলেশ্বরী পাড়ে দৃশ্যধারণ
ছবি: ফেসবুক

তানভীর মোকাম্মেলের কাজে বারবার উঠে এসেছে নদীঘেঁষা মানুষের জীবন, কর্ম, তাঁদের সংগ্রাম। ‘নদীর নাম মধুমতী’, ‘চিত্রা নদীর পারে’, ‘অয়ি যমুনা’, ‘কর্ণফুলীর কান্না’, সর্বশেষ ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ প্রভৃতি চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র সে কথাই মনে করিয়ে দেয়।