কাল ছাড়া পেতে পারেন নাসিরুদ্দিন শাহ

নাসিরুদ্দীন শাহ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। কাল শুক্রবার বলিউডের এই প্রবীণ অভিনেতাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে। গত ২৯ জুন মুম্বাইয়ের খারে পিডি হিন্দুজা হাসপাতাল ও মেডিকেল রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

নাসিরুদ্দিন শাহ

কয়েক দিন ধরে পিডি হিন্দুজা হাসপাতালে নাসিরুদ্দিন শাহর নিউমোনিয়ার চিকিৎসা চলছে। তাঁর অসুস্থতার খবরে চলচ্চিত্র অঙ্গন ও অনুরাগীরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে সারা দেশ।

তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আরেক বলিউড অভিনেতা অনুপম খের টুইটে লিখেছেন, ‘নাসিরুদ্দিন সাহেব, মনে হচ্ছে নিউমোনিয়ারও একটু জনপ্রিয়তা দরকার। তাই আপনার সঙ্গে সেঁটে রয়েছে।

‘আ হোলি কনসপিরেসি’ ছবির শুটিংয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মূকাভিনেতা পার্থপ্রতিম মজুমদার (মাঝে) ও নাসিরুদ্দিন শাহ। কলকাতার লিলুয়ার গির্জায়
ছবি: সংগৃহীত

একটা মোক্ষম ঝাঁকুনি দিয়ে দ্রুত সেটাকে ঝেড়ে ফেলে সুস্থ হয়ে উঠুন। বহুদিন ধরেই আপনার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে না। এবার করতে হবে তো! নিজের একটু যত্ন নিন। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এই কামনা করি।’
নাসিরুদ্দিন শাহর ব্যবস্থাপক জয়রাজ পিটিআইকে আজ জানিয়েছেন, ‘তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। কাল তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে।’ গতকাল, অর্থাৎ বুধবার দুপুরে নাসিরুদ্দিন শাহর স্ত্রী রত্না পাঠক শাহ পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘নিউমোনিয়ার কারণে তাঁর ফুসফুসে একটা হালকা দাগ পড়েছে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

৪৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক স্মরণীয় ছবি উপহার দিয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁর ঝুলিতে আছে ‘ইজাজত’, ‘মাসুম’, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’, ‘মির্চ মসালা’, ‘সরফোরস’, ‘ইশকিয়া’, ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, ‘দ্য ওয়েনসডে’, ‘মোহরা’, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’র মতো ব্যবসাসফল ছবি।

‘ইন্টেরিয়র ক্যাফে নাইট’ ছবির দৃশ্য নাসিরুদ্দিন শাহ

১৯৭৫ সালে ‘নিশান্ত’ দিয়ে বলিউডে এই প্রভাবশালী অভিনেতার অভিষেক হয়েছিল। শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। শেষ তাঁকে পর্দায় দেখা গেছে বাবা আজমির ‘মি রাকশম’ ছবিতে।

‘লিবাস’ ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাবানা আজমি ও নাসিরুদ্দিন শাহ। ছবি: ইউটিউব থেকে

ওয়েব সিরিজ ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’-এ দেখা গেছে নাসিরুদ্দিন শাহকে। ১৯৮৭ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০০৩ সালে নাসিরুদ্দিন শাহ ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন। তিনবার তিনি জাতীয় পুরস্কার জয় করেছেন।