ট্রল নিয়ে মুখ খুললেন কাজী মারুফ
‘আমার একটা কথাই বলার আছে। এটা অল্প কিছু মানুষের নির্বাচন। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ানোর কী ছিল? যেটা হচ্ছিল ফুল দেওয়া আর সেলফি তোলা, যেখানে সিনেমাই নেই। প্রায় ৯৫ ভাগ শিল্পী বেকার। সেখানে শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে এত...ইয়ে ভালো না। এটা এখন আদালতে আছে। হয়তো বিচার হয়ে যাবে। কেউ একজন আসবেন। তাঁরা শিল্পীদের কল্যাণ, চলচ্চিত্র নিয়েই কাজ করবেন।’—লাইভে নির্বাচন প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন চিত্রনায়ক কাজী মারুফ।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও মন তাঁর দেশে পড়ে থাকে। তাঁর ধ্যানজ্ঞান এখনো বাংলা সিনেমা নিয়ে। আবার ফিরবেন সিনেমায়। এই অভিনেতা বলেন, ‘এখন আর সিনেমা হয় না। সিনেমা সেভাবে বানানো হয় না। যাঁদের সিনেমা চলে না, তাঁদের নিয়ে মিডিয়ায় অনেক মাতামাতি হয়। আর যাঁদের সিনেমা চলত বা চলে, তাঁদের প্রতি একশ্রেণির ভালোবাসা নেই। তবে দর্শক তাঁদের ভালোবাসেন। আসলে যাঁরা জনগণের প্রিয় বা জনপ্রিয়, তাঁদের মূল্য কম। আর যাঁরা সামাজিকভাবে স্বীকৃত না, যাঁরা অশালীন কাজ করেন, যা সামাজিকভাবে স্বীকৃত নয়। নিউজে এসে পপুলার তাঁদের নিয়ে লাফালাফি বেশি হয়। আরেকটা কথা, এখন হিরো সবাই। এর মধ্যে না হয় আমি না–ই থাকলাম।’ অভিমান করেই কথাগুলো বলেন এই অভিনেতা।
মারুফ এখনো সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পান ‘ইতিহাস’ সিনেমার জন্য। কিন্তু প্রায়ই তাঁকে দর্শকদের সামনে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়। তার কারণ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্যে তিনি গালি দিয়েছিলেন। দৃশ্যগুলো অনেকেই ট্রল করেন। এ প্রসঙ্গে মারুফ বলেন, ‘তোমাদের কাছে প্রশ্ন তোমরা কী বুঝে করো ট্রল। ইউটিউবে ভিউ বাড়ানোর জন্য কাউকে ট্রল করলে মানুষ ধিক্কার দেয়। অথচ এগুলোর কেউ প্রতিবাদও করছেন না। “ইতিহাস” সিনেমায় আমি দুটি দৃশ্যে গালি দিয়েছিলাম। বলেছিলাম কুত্তার বাচ্চা। কিন্তু কাকে বলেছিলাম, কেন বলেছিলাম। সেটা আপনাদের জানতে হবে। ভণ্ড পীর আমাকে দিয়ে খারাপ কাজ করায়। আমার গল্পের প্রাসঙ্গিক জায়গা থেকে তখন আমি গালিগুলো দিয়েছি। আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, আপনার বোনকে যদি কেউ বাজে কথা বলে, বাজে দৃষ্টিতে তাকায় বোনের সামনে কি বলবেন, “ভাইয়া, এভাবে তাকিয়ো না।” বাস্তবতা আরও খারাপ। সবকিছুর একটা কারণ থাকে। এগুলো নিয়ে আর কেউ ট্রল করলে আপনারা প্রতিবাদ করবেন।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি ইচ্ছা করে ভাইরাল হওয়ার জন্য ভুলভাল বলি না। নেগেটিভ পাবলিসিটি আমি পছন্দ করি না। আমাকে একই সমাজের মধ্যে থাকতে হয়। শুধু শুধু ট্রল করবেন না। আমি একটি ওয়েব ফিল্ম বানাব, কীভাবে সামাজিক মাধ্যম একজনের সামাজিক জীবন নষ্ট করে দেয়। সেটাই হয়তো দেখাব।’
কাজী মারুফের ‘গ্রিন কার্ড’ ও ২৬ মার্চকে ঘিরে একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। ‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমাটি হলে মুক্তি পেলেও অন্যটি নিয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। দীর্ঘদিন আগের এ সিনেমা নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলেই ছাড়বেন বলে জানান এই অভিনেতা। তিনি এর আগে ফেসবুক থেকে লাইভে এলেও গতকাল তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘ফিল্ম ফ্যাক্টরি ইন নিউইয়র্ক’ থেকে লাইভে এসে ভক্তদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল আড্ডা দেন। ভক্তদের জানান, আগামী ঈদুল আজহায় তাঁর দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আড্ডা শেষে ‘ইতিহাস’ সিনেমার ‘তুমি কই তুমি কই, তোমার বুকের মধ্যখানে’ গানটি গেয়ে লাইভ শেষ করেন।