‘তাকদীর’ করার আগে ম্যানুয়াল ড্রাইভিং জানতেন না চঞ্চল, তাহলে গাড়ি চালাতেন কে?

‘বড় মঞ্চের তারকা’ অনুষ্ঠানে চঞ্চল চৌধুরী ও পূর্ণিমাছবি: প্রথম আলো

নাম তার তাকদীর আলম। পেশায় সে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের চালক। বিভিন্ন অঞ্চলে লাশ বয়ে নিয়ে যাওয়া তার কাজ। লাশ বুঝিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে বাড়তি কিছু উপার্জনের আশায় প্রায়ই সে মাছ বা শাকসবজির চালান নিয়ে আসে। তেমনই একটি দিনের কথা। মাছের চালান বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ফ্রিজারের ডালা খুলেই দেখে, ভেতরে একটি লাশ। মাথার ভেতরটা পাক খেয়ে ওঠে। ব্যাপার কী? এই লাশ এল কোথা থেকে? আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘তাকদীর’-এর শুরুর দিককার গল্পটা অনেকটা এই রকম। এই সিরিজ করেই দুই বাংলায় রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী।

পুরো সিরিজেই বিভিন্ন দৃশ্যে তাকদীররূপী চঞ্চল চৌধুরীকে ফ্রিজার ভ্যান চালাতে দেখা গেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ‘তাকদীর’ করার আগে চঞ্চল ম্যানুয়াল ড্রাইভিং জানতেন না। তাহলে গাড়ি চালাতেন কে? চঞ্চলের বডি ডাবল? ‘বড় মঞ্চের তারকা’য় অতিথি হয়ে এসে সেই গল্পই শোনালেন চঞ্চল চৌধুরী।

চঞ্চল চৌধুরী
ছবি: প্রথম আলো

ফ্রিজার ভ্যান চালাতে গিয়ে মজার কিছু ঘটেছিল কি না, জানতে চেয়েছিলেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা পূর্ণিমা। জবাবে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘রাত তিনটার সময় কারওয়ান বাজারে প্রথম দিন আমার শুটিং ছিল। বিভিন্ন অঞ্চলে লাশ দিয়ে ফেরার সময় একটু বাড়তি আয়ের জন্য মাছ বা শাক নিয়ে আসি এবং সেগুলো কারওয়ান বাজারে বিক্রি করি।

তাকদীর’ সিরিজ করেই দুই বাংলায় রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী

এমনই একটি ট্রিপ শেষ করে ঘাট থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে এসে ফ্রিজার ভ্যান খুলে দেখি, একটি লাশ। ওই শট দিয়েই আমার শুটিং শুরু হবে। আগেই ওদের বলেছিলাম, আমার গাড়ি তো অটো, তাই আমাকে একটি অটো ফ্রিজার ভ্যান দিয়ো। শুটিংয়ের আগে ফ্রিজার চালাতে গিয়ে দেখি, গাড়িটি ম্যানুয়াল। কিন্তু আমি তো ম্যানুয়াল গাড়ি চালাই না। সারা ঢাকা শহর খুঁজেও কোনো অটো ফ্রিজার ভ্যান পাওয়া গেল না। পুরো ওয়েব সিরিজেই আমাকে ফ্রিজার ভ্যান চালাতে হবে। গাড়ি অটো না হলে তাই সমস্যা। আর ডামি ড্রাইভার ব্যবহার করলে আমি কাজটি করব না। এ ছাড়া বিষয়টি ভালোও হবে না।’

‘বড় মঞ্চের তারকা’ অনুষ্ঠানে চঞ্চল চৌধুরী ও পূর্ণিমা

তাহলে সমস্যার সমাধান হলো কী করে? চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘গাড়ির কারণে প্রথম দিন শুটিং প্যাকআপ করা হলো। প্যাকআপ হওয়ার পর ফ্রিজারের ড্রাইভারকে বললাম, তুমি সারা দিন আমাকে ম্যানুয়াল গাড়ি চালানো শেখাবে। শেখার জন্য আমার চলে গেলাম শেরেবাংলা নগরের বাণিজ্য মেলার মাঠে। ৩০ মিনিটের মধ্যেই মোটামুটি ম্যানুয়াল গাড়ি চালানো শিখে গেলাম। আসলে, আমি যখন গাড়ি চালানো শিখি, তখন এক সপ্তাহের মতো ম্যানুয়াল গাড়ি চালানো শিখেছিলাম। কিন্তু এরপর আর কখনো চালাইনি। যাহোক, পরের দিন থেকেই আমাদের শুটিং শুরু হলো এবং মোটামুটি ৯৯ ভাগ গাড়ি চালানোর শট আমার দেওয়া। লং শটেও আমি গাড়ি চালিয়েছি।’