দুবাইয়ে যেমন কেটেছে নায়িকার হানিমুন

তমা মির্জা
ফেসবুক থেকে

নায়িকার স্বামী ব্যবসায়ী, থাকেন কানাডায়। কখনো নায়িকা যান স্বামীর কাছে, কখনো স্বামী আসেন বাংলাদেশে। বিয়ের পর দুজনের সময় হয়নি আলাদা করে হানিমুনে যাওয়ার। করোনাকাল সেই সুযোগ করে দিয়েছে। দুবাইতে বেশ কয়েকটি দিন কাটিয়ে এলেন নায়িকা তমা মির্জা ও তাঁর বর হিশাম চিশতি। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরেছেন তাঁরা। কেমন ছিল এই মধুচন্দ্রিমা? তমা জানালেন, স্বামীর সঙ্গই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছেন তিনি।

তমা মির্জা
ফেসবুক থেকে

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বর হিশাম চিশতিকে নিয়ে আট দিনের জন্য দুবাই গিয়েছিলেন তমা মির্জা। পছন্দের জায়গাগুলো ঘোরা, পছন্দের খাবার, প্রিয় ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছেন। বরকে উপহার দিয়েছেন তাঁর পছন্দের কিছু জিনিস। মধুচন্দ্রিমা কাটিয়ে ঢাকায় ফেরা তমা মির্জা প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনায় অনেক দিন কাজ নেই। সবাই যে যার মতো আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তারপরও আমার চাহিদায় অভাব রাখেনি হিশাম। আমাকে প্রিন্সেসের মতো রেখেছে। যেখানে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, সেখানে নিয়ে গেছে, কোয়ালিটি টাইম দিয়েছে। ব্যস্ততার কারণে যা কখনো হয় না। অনেক জায়গায় ঘুরলে এবং কেনাকাটা করলেও স্বামীর সঙ্গ, সময় পাওয়াটা ছিল সবচেয়ে বড় গিফট।’

স্বামী হিশাম চিশতির সঙ্গে দুবাইয়ে তমা মির্জা
ফেসবুক থেকে

দুবাই যাওয়ার আগে কোভিড-১৯ টেস্ট করিয়েছেন তমা ও হিশাম চিশতি। করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে দুবাই গেলে সেখানে দ্বিতীয় দফায় কোভিড–১৯ টেস্ট করান তাঁরা। সেই রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। এরপর মনের সুখে ঘুরে বেড়ান এই দম্পতি। কথায় কথায় তমা মির্জা বললেন, ‘করোনার কারণে এখন দুবাইয়ের অনেক পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ। যেগুলো খোলা আছে, সেগুলো আবার এক্সপেনসিভ। তারপরও মনের সাধ মেটাতে গেলাম যখন, ঘুরে এসেছি।’
২০১০ সালে এম‌ বি মা‌নিক প‌রিচা‌লিত ‘বলো না তুমি আমার’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ঢালিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তমা মির্জা। পরে ‘মনে প্রাণে আছো তুমি’, ‘পালাবার পথ নেই’, ‘মানিক রতন দুই ভাই’, ‘ছোট্ট সংসার’ ছবিগুলোতে অভিনয় করেন তিনি। শাহনেওয়াজ কাকলী পরিচালিত ‘নদীজন’ ছবিতে অভিনয় করে পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চল‌চ্চিত্র পুরস্কার পে‌য়ে‌ছেন তমা মির্জা।

স্বামী হিশাম চিশতির সঙ্গে তমা মির্জা
ফেসবুক থেকে

বর্তমানে ‘তমার প্রিয়তমা’ না‌মে এক‌টি টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা কর‌ছেন তমা মির্জা। একটি ওয়েব সিরিজে কাজের প্রস্তাব পেয়েছেন, কিন্তু ৫ দিন ঢাকার বাইরে শুটিং করতে হবে বলে রাজি হননি। এই মুহূর্তে ঢাকার বাইরে শুটিংকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো সাবধান থাকলাম, কিন্তু ইউনিটের সবার তো বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। তা ছাড়া আমার স্বামী যেহেতু ছুটিতে, তাই তাকে একা রেখে ঢাকার বাইরে শুটিংয়ে যেতে চাই না। একসঙ্গে কিছুদিন থেকে, পরিবেশ আরও স্বাভাবিক হলে তবেই শুটিং করব।’
গত বছরের ৯ মার্চ তমা মির্জার বাগদান হয়। এরপর ৬ মে মাসে রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

স্বামী হিশাম চিশতির সঙ্গে তমা মির্জা
ফেসবুক থেকে