নতুন বছরে ‘বড় সুখবর’–এর আভাস আবু শাহেদের

তরুণ নির্মাতা আবু শাহেদ

২০২০ সালে স্বাধীন তরুণ নির্মাতাদের পরিকল্পনা ভন্ডুল করেছে কোভিড–১৯। অন্য অনেকের মতোই বছরটা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি তাঁদের। তবে ‘যাচ্ছেতাই’ বছরেও হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি তাঁরা। নতুন বছরে নতুন করে স্বপ্ন বুনতে তো বাধা নেই। গত বছরটা ঘরে থেকে ‘চার্জড’ হয়েছেন তাঁরা। এ বছর নতুন উদ্যমে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত দেশের চলচ্চিত্রের এই ‘ভবিষ্যতেরা’। কাজের লম্বা তালিকা হাতে নিয়ে নতুন বছর শুরু করছেন স্বাধীনধারা চলচ্চিত্রের তরুণ নির্মাতারা। তাঁদেরই একজন আবু শাহেদ। ২০২১ সাল নিয়ে তাঁর ভাবনা ভাগ করে নিয়েছেন প্রথম আলোর সঙ্গে।
‘জালালের গল্প’খ্যাত পরিচালক আবু শাহেদের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো, তিনি জীবনের ব্যস্ততম বছর কাটানোর জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তাঁর প্রযোজিত বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেতে পারে এ বছর। সেগুলোর মধ্যে নাম ঠিক না হওয়া পিপলু আর খান পরিচালিত, জয়া আহসান অভিনীত ‘একটি ছবি’, নূর ইমরান পরিচালিত ‘পাতাল ঘর’, ফজলে রাব্বির ‘পায়ের তলায় মাটি’ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া আরও সাতটি ছবির প্রি–প্রোডাকশনের কাজ চলছে। তার মধ্যে রয়েছে তাসমিয়াহ্ আফরিনের ‘কাক’ (ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন তাহরিমা খান), গিয়াস উদ্দিন সেলিমের নাম ঠিক না হওয়া একটা প্রজেক্ট ইত্যাদি।

ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ক্রিয়েটিভ প্রযোজক হিসেবে যুক্ত আছেন আরও চারটি ছবির সঙ্গে। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘পাপ পুণ্য’, রায়হান রাফির ‘দামাল’, ‘কাঠবিড়ালি’খ্যাত নিয়ামুল মুক্তার দ্বিতীয় ফিচার ফিল্ম ‘রক্তজবা’ আর মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’।

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে ভারতের সংগীত ব্যক্তিত্ব এ আর রহমান ও আবু শাহেদ । ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

পরের প্রশ্নটা তিনি নিজেই করলেন, আর উত্তরও দিলেন, ‘অনেকেই জানতে চাচ্ছে আমার নিজের সিনেমা কোথায়? তাঁদেরকে আমি জানাতে চাই, এ বছর আমি আমার দ্বিতীয় ফিচার ফিল্মের কাজ শুরু করব।’ কেন এত দিনে শুরু করেননি, সেই প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘আমি দীর্ঘদিন দেশের বাইরে চলচ্চিত্র নিয়ে পড়োশোনা করেছি। কাজ করছি। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। আমি যে প্রজেক্টগুলোতে বিশ্বাস করি, সেগুলোর ব্যাকআপ দেওয়া আমার দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আমাকে রাষ্ট্র দেয়নি, চ্যানেল আই দেয়নি। এটা আমার বোধের জায়গা থেকে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য আমার করণীয়।’ নিজেকে কাজপাগল হিসেবে পরিচয় দেওয়া এই পরিচালক, প্রযোজক ও শিক্ষক মনে করেন, ‘আসিতেছে অমুক, তমুক’ না করে নীরবে কাজ করে যাওয়াটা জরুরি। আওয়াজের সময় আওয়াজ করতে হবে। বাকি সময় দরকার নেই। নতুন বছরে সামনে ‘বড় সুখবর’–এর আভাসও দিলেন তিনি।