‘নায়িকা’ দীঘির হলো শুরু

দীঘিছবি : ইনস্টাগ্রাম

সেই ছোট্ট দীঘির আজ যাত্রা শুরু হলো নায়িকা হিসেবে। ঢালিউড অভিনেতা সুব্রত ও অভিনেত্রী দোয়েলের মেয়ে দীঘি শৈশব থেকেই চলচ্চিত্রাঙ্গনের সবার আদরের। শিশুশিল্পী হিসেবে তাঁর অভিনয় মন কেড়েছিল কোটি মানুষের। তাঁকে আজ থেকে পাওয়া যাবে পরিণত অভিনয়শিল্পী হিসেবে, নায়িকার ভূমিকায়।

পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে শৈশব-কৈশোরে অনেকবার প্রেক্ষাগৃহে গেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। নিজের অভিনীত সিনেমা দেখেছেন। নিজের প্রথম ছবিও দেখতে যাবেন তিনি। বললেন, ‘ছবিটা যেদিন মুক্তি পাচ্ছে, সেদিনও আমার শুটিং থাকবে। কিন্তু নিজের প্রথম ছবি বলে কথা, দেখতে তো যেতেই হবে। সন্ধ্যার পর পরিচালকের কাছ থেকে কয়েক ঘণ্টা ছুটি নিয়ে হলে যাব। ছোটবেলায় ছবি দেখতে যেতাম, বড় হয়ে নিজের ছবি দেখতে যাওয়াটা হবে একেবারে ব্যতিক্রম এক ঘটনা।’ কেমন লাগছে দীঘির? যদি পরিচালক ছুটি না দেন? দীঘি বলেন, ‘আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে, ভয় ভয় লাগছে। একেবারে অন্য রকম এক অনুভূতি। পরিচালক যদি ছুটি না দেন, তাহলে প্রথম দিন যাওয়া হবে না। কিন্তু বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে আমি একদিন হলে যাবই।’

ছবিটা মুক্তির আগে বেরোয় ট্রেলার। নানা বিবেচনায় ভীষণ সমালোচিত হয় সেটি। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দীঘি নিজেও। এতে সৃষ্টি হয়েছে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। অনেকেই দুষেছেন অভিনেত্রী দীঘিকেও। সেসবের জবাবে দীঘি বলেছেন, ‘আমি ট্রেলার বানাইনি। এডিট করিনি, কালার কারেকশন করিনি। আমাকে কেন গান পয়েন্টে রাখা হবে! আমার কাজ পরিচালকের কথামতো অভিনয় করা। আমি সেটা করেছি। ট্রেলার ভালো না হওয়া আমার দোষ নয়। আমি এ রকম প্রতিক্রিয়া পাব ভাবিনি।’

দীঘি।
ইনস্টাগ্রাম

‘ট্রেলার ভালো হয়নি’, এ রকম প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রযোজক-পরিচালকের রোষানলেও পড়েছেন দীঘি। এমনকি শোনা গেছে, মামলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। প্রথম ছবির মুক্তি নিয়েই এ রকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন তিনি? দীঘি বলেন, ‘একে একটা শিক্ষা হিসেবে দেখছি। জীবনে তো উত্থান-পতন থাকেই। একেও আমি ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে কথা বলার সময় আরও সাবধান থাকব। মামলা-মোকদ্দমা, বিতর্ক—বিষয়গুলোকে ইতিবাচকভাবে দেখলেও খারাপ লাগছে। ভাবিনি এ রকম হবে। তবে আমি আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছি না।’ ছবির পরিচালক মামলা করতে চেয়েছেন তাঁর নামে। পরিচালকের সঙ্গে কি কথা হয়েছে তাঁর? দীঘি বলেন, ‘আঙ্কেল কষ্ট পেলে আমি তাঁর কাছে ক্ষমা চাইব। কিন্তু আমার সঙ্গে তাঁদের কেউ যোগাযোগ করেননি। আমিও যোগাযোগ করতে পারছি না। তাঁরা কি তবে আদালতের মাধ্যমেই কথা বলবেন? তাহলে তো আমাদেরও সেভাবেই জবাব দিতে হবে। আমি মামলার কথা শুনেছি, কিন্তু নোটিশ পাইনি।’

নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে দীঘি জানিয়েছেন, তিনি সিনেমাটির নির্মাণ নিয়ে নেতিবাচক কিছু বলেননি, কেবল ট্রেলারটির নান্দনিকতা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ট্রেলার দেখে টুকটাক সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছিলাম। তাঁরা সেসব করেননি, আমি কী করতে পারি? প্রযোজকের ছবি, তিনি যা ভালো মনে করবেন, সেটাই করবেন।’

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি
ফেসবুক থেকে

আরও তিনটি ছবি দীঘির হাতে। সেন্সর ছাড়পত্রের অপেক্ষায় টুঙ্গীপাড়ার মিয়া ভাই, শুটিং চলছে ‘শেষ চিঠি’ ও ‘বঙ্গবন্ধু’ ছবি দুটির। এর মধ্যে ‘টুঙ্গীপাড়ার মিয়া ভাই’ ও ‘বঙ্গবন্ধু’ ছবি দুটোয় তাঁকে দেখা যাবে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকায়। ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু ছবির এক দফা শুটিং করে এসেছেন ভারতের মুম্বাই থেকে। মার্চের শেষে আরও এক দফা শুটিংয়ের জন্য মুম্বাই যেতে হবে তাঁকে।

দেশের ৩০টি প্রেক্ষাগৃহে আজ শুক্রবার থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ছবি তুমি আছো তুমি নেই। দীঘি ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন আসিফ ইমরোজ, সুব্রত চক্রবর্তী, অমিত হাসান, শবনম পারভীন প্রমুখ।