পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরেছেন শবনম
করোনার কারণে কয়েক দফা টিকিট বদলাতে হয়েছে। সর্বশেষ ২৬ জুলাই তাঁর বাংলাদেশে ফেরার টিকিট কনফার্ম ছিল। কিন্তু করোনার কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তখন দেশে ফিরতে পারেননি। সংক্রমণ কমায় অবশেষে রোববার ঢাকায় ফিরলেন অভিনয়শিল্পী শবনম।
এ বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তান সফরে যান শবনম। দীর্ঘ সময় পাকিস্তানি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কারণে লাহোরে তাঁর অনেক বন্ধু। আছে চলচ্চিত্রের অনেক সহকর্মী আর পরিচিতজন। শুরুতে ফয়সালাবাদে এক ভক্তের বাড়িতে ওঠেন।
শবনম বলেন, ‘সাজিয়া আমার ভক্ত। আমি যখন পাকিস্তানে অভিনয় করি, তখন থেকে আমার ছবি দেখে। ৩০ বছরের বেশি আমাদের যোগাযোগ। কখনো দেখা হয়নি। এবার দেখা হলো। তার বাড়িতে মেহমান হিসেবে থেকেছি। তারাও আমাকে পেয়ে ভীষণ খুশি। আমারও সুন্দর সময় কেটেছে।’ ফয়সালাবাদে মাস দুয়েক থাকার পর লাহোরে আরেক ভক্ত-বন্ধুর বাড়িতে যান। এই কয়েক মাস সেখানেই ছিলেন। সেখান থেকেই রোববার ঢাকায় ফিরলেন শবনম।
শবনম বলেন, টিকা কার্ড হারিয়ে ফেললেও বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। শবনম বলেন, ‘দুবাই এয়ারপোর্টে চেকিংয়ের সময় কখন যে কার্ডটা হারিয়ে গেছে, খেয়াল করিনি। ঢাকা এয়ারপোর্টে কাগজ দেখতে চাইলে ব্যাগে হাত দিয়ে দেখি কাগজ নেই। এতে বিব্রত হই। তবে উপস্থিত বিমানবন্দর কর্মকর্তারা চিনতে পেরে তাৎক্ষণিক বিষয়টির সম্মানজনক সমাধান করে বিমানবন্দর ত্যাগের ব্যবস্থা করে দেন। তাঁদের আন্তরিকতায় আমি কৃতজ্ঞ।’
শবনম বলেন, ‘পাকিস্তানের করোনার সংক্রমণ এমনিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল। করোনার কারণে খুব বেশি ঘোরাঘুরি করতে পারিনি। তবে এর মধ্যে নাদিম বেগ ও জেবা আলীর সঙ্গে একাধিকবার দেখা হয়েছে।’
সত্তর দশকের শুরুতে শবনম পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে নিজের স্থান শক্ত করে তোলেন। ১৯৮৮ সালের দিকে শবনম বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের চলচ্চিত্রে সমানতালে অভিনয় করতে থাকেন। নব্বই দশকের শেষ ভাগে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বাস করতে শুরু করেন। পাঁচ দশকের অভিনয়জীবনে ১৮০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।