প্রাণীদের ভালোবাসায় জয়া আহসানকে সম্মাননা
পশুপাখির প্রতি জয়া আহসানের ভালোবাসার কথা কমবেশি সবারই জানা। করোনাকালে এর বেশ কিছু নজির লক্ষ করা গেছে। প্রথম করোনা বিধিনিষেধে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে তিনি পথের কুকুরগুলোকে নিজ হাতে খাবার দিয়েছেন। পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার জন্য এবার সম্মানিত হচ্ছেন তিনি। পশু নিয়ে কাজ করা সংগঠন দ্য পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার তাঁকে এ সম্মাননা দিচ্ছে। জয়াকে ‘প্রাণবিক বন্ধু’ আখ্যায়িত করে দেওয়া হচ্ছে এ সম্মান।
সংস্থাটির পক্ষে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এমন আয়োজন। তবে করোনার কারণে এখনই সম্মাননা স্মারকটি অভিনেত্রী জয়ার হাতে পৌঁছাচ্ছে না। নভেম্বর মাসে এটি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘অনেক মানুষ পশুর সুন্দর জীবনের জন্য কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই লাইমলাইট থেকে দূরে সরে থাকেন। আমরা তাঁদের সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই। পশুর কল্যাণে তাঁদের অংশগ্রহণ ও অবদানের জন্যই এ সম্মান। গতকাল ওয়ার্ল্ড অ্যানিমেল ডে উপলক্ষে “প্রাণবিক বন্ধু” পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে পশু উদ্ধারকারী, চিকিৎসক, সংগঠকসহ ১০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।’
এদিকে দ্য পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের এ উদ্যোগে আনন্দিত জয়া আহসান। কলকাতায় ‘ওসিডি’ চলচ্চিত্রের ডাবিংয়ের ফাঁকে মঙ্গলবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সত্যি বলতে, অভিনয়জীবনে অনেক সম্মাননা পেয়েছি। এটাও ঠিক, আসলে আমি তো কোনো কিছু পাওয়ার জন্য কিছু করি না। অভিনয়ের ফাঁকে যে সময়টুকু পাই, তা পশুপাখি ও প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করি। সে জন্য যদি কোনো পুরস্কার পাই, সেই স্বীকৃতি আমার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আর আমার এই স্বীকৃতি যদি অন্য কাউকে অনুপ্রাণিত করে, সেটা হবে আরও বেশি ভালো লাগার। আমাদের নতুন প্রজন্ম যথেষ্ট প্রাণিবান্ধব এবং তারা সোচ্চার। সব গোড়ামিকে পাশ কাটিয়ে তারা পশুপাখির দুঃখ-কষ্ট অনুভব করে। অনেক সময় সামাজিক প্রতিবন্ধকতাও এ কাজের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেসবের বিপরীতে দাঁড়িয়ে পশুপাখির প্রতি মমতা দেখাতে পিছপা হয় না। হয়তো আমি লাইমলাইটে আছি বলে আমারটা সবাই দেখতে পায়। যাদের সঙ্গে আমাকে এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে, তা আমার কাছে বড় একটা প্রাপ্তি মনে হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতার নন্দনে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত সিনেমা ‘বিনি সুতোয়’। মঙ্গলবার সেখানে ছবিটি উপভোগ করেছেন তিনি।