ফেলুদা ফেলুদা একটা ব্যাপার আছে

মৌসুমী হামিদ
ছবি: ফেসবুক থেকে

২০১০-১১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানের জন্য বিবেচিত হয় 'হডসনের বন্দুক' ছবিটি। শুটিং শুরু হলেও সিনেমাটি বারবার নানা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। অভিনয়শিল্পী খোঁজা, কখনো অর্থসংকট, কখনো শুটিং করা ফুটেজ হারিয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে পিছিয়ে যায় ছবিটির নির্মাণকাজ। সম্প্রতি সব কাজ শেষ হয়ে ছবিটি জমা পড়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে। লকডাউন শেষ হলেই এটি সেন্সর সনদ পাবে বলে জানা গেছে।

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ছবি হডসনের বন্দুক নিয়ে খুবই আশাবাদী ছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। ছবিটি বারবার পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ তিনি। মৌসুমী বলেন, ‘বহু আগে শুটিং করেছিলাম। এ ছবি নিয়ে অনেক আশা আমার। ফেলুদা ফেলুদা একটা ব্যাপার আছে, থ্রিলারের অনেক কিছুই আছে এই ছবিতে।’

মৌসুমী হামিদ। ছবি: ফেসবুক থেকে

সিপাহি বিপ্লবের সময় ঐতিহাসিক একটি বন্দুক হারিয়ে যায়। দেশের একজন শৌখিন গোয়েন্দা সেই বন্দুক উদ্ধার করতে চায়। রহস্যজনক ঘটনা নিয়েই এর গল্প। ছবিটি লকডাউনের আগে দেখেছেন সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা। সেন্সর বোর্ডের সদস্য আবদুস সামাদ বলেন, ‘ছবিটি আমরা দেখেছি। এখন লকডাউনে সেন্সর বোর্ডের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। লকডাউন শেষ হলেই সর্বসম্মতিক্রমে এটিকে শিগগির সেন্সর সনদ দেওয়া হবে।’ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন এস এম মহসীন, লুৎফর রহমান জর্জ, কাজী উজ্জ্বল, অর্ণব অন্তু প্রমুখ।

মৌসুমী হামিদ। ছবি সংগৃহীত

সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেছেন প্রশান্ত অধিকারী। নির্মাতা বলেন, ‘আমার প্রথম সিনেমা হিসেবে কিছুদিন ভুল পথে হেঁটেছিলাম। কয়েকজন অভিনয়শিল্পীর আচরণ শিল্পীসুলভ ছিল না। তা ছাড়া আর্থিক জটিলতায় আটকে যায় কাজ। এখন সেন্সর সনদ পেতে আর বাধা নেই। শিগগিরই মুক্তি দেব।’

মৌসুমী হামিদ। ছবি: ফেসবুক থেকে