ভক্তদের কষ্ট না দিতে মা-ই শিখিয়েছেন

অপু বিশ্বাস
ইনস্টাগ্রাম
গত ১৭ সেপ্টেম্বর মাকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মা ছিলেন অপুর সবচেয়ে কাছের। মায়ের শূন্যতা, বর্তমান সময়, সন্তান ও কাজ নিয়ে কথা হলো প্রথম আলোর সঙ্গে।

প্রশ্ন :

মা ছিলেন আপনার সবচেয়ে কাছের। তিনি চলে গেলেন...

কখনোই ভাবিনি মা আমাকে, আমার সন্তান জয়কে ছেড়ে এভাবে হুট করেই চলে যাবেন। শুধু আমি না, পুরো পরিবারই মায়ের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। এই শূন্যতা সারা জীবনেও পূরণ হবে না। মা আমাকে একটি জিনিস শিখিয়ে গেছেন। তা হলো—নিজেকে শক্ত রাখা ও যেকোনো বিপদ মোকাবিলা করা।

প্রশ্ন :

আপনি সব সময় বলে থাকেন, আজকের অপু বিশ্বাস হওয়ার পেছনে আপনার মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি?

মায়ের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই। তাঁর কারণেই নিজেকে একজন জনপ্রিয় তারকা হিসেবে তৈরি করতে পেরেছি। ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ঝামেলা মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস সঞ্চয় করেছি। সব মায়ের অবদান। তাঁকে স্মরণ করেই পথ চলব।

অপু বিশ্বাস
ইনস্টাগ্রাম

প্রশ্ন :

আপনার ছেলে আব্রাম খান জয়ের বেশির ভাগ সময় কেটেছে নানির কাছেই। নানির অনুপস্থিতি কতটা অনুভব করছে সে?

তার আচরণে নানির অভাব বোঝা যায়। নানির সঙ্গেই তার বেশির ভাগ সময় কাটত। নানিকে ‘গ্র্যান্ডমা’ বলে ডাকত জয়। বাসায় তার সামনে কেউ গ্র্যান্ডমা বলে ডাকলেই দৌড়ে মায়ের রুমে চলে যেত। এখন সেই ফাঁকা রুমে গিয়ে চিত্কার করে কাঁদে। তাকে বোঝানো যায় না। কোনো কোনো সময় খাওয়ানোও যায় না।

প্রশ্ন :

মায়ের মৃত্যুর কয়েক দিন পরই জয়ের জন্মদিন ছিল। চলতি মাসে ছিল আপনার। মা ছাড়া আপনার ছেলে ও নিজের জন্মদিন কীভাবে কাটালেন?

প্রতিবার বড় আয়োজনে জয়ের জন্মদিন পালন করি। এবার কোনো আয়োজন করিনি। আমার জন্মদিনও পালন করিনি। আমার কয়েকজন ভক্ত একটি রেস্তোরাঁয় ছোট পরিসরে আয়োজনে করেছিলেন। আমি শুধু সেখানে গিয়ে কেক কেটেছি। যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। ভক্তরা কষ্ট পাবেন ভেবে গিয়েছি। ভক্তদের কষ্ট না দিতে মা-ই শিখিয়েছেন।

মা প্রয়াত শেফালী বিশ্বাসের সঙ্গে অপু বিশ্বাস
ফেসবুক থেকে

প্রশ্ন :

কাজে ফিরবেন কবে?

কাজ শুরু করতে হবে। কাজের মধ্যে থাকলে মনটা ভালো থাকে। ছায়াবৃক্ষ নামের একটি অনুদানের ছবিতে আগেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। অক্টোবর থেকে শুটিং করার কথা ছিল। মায়ের অসুস্থতার জন্য তখন করতে পারিনি। চলতি মাসেও করা হচ্ছে না। আগামী নভেম্বর থেকে ছবির শুটিং শুরু করব। ‘শর্টকাট’ নামে কলকাতার একটি ছবির কাজ করছিলাম। করোনার আগে থেকেই শুটিং বন্ধ আছে। আর কয়েকদিন কাজ করলে শুটিং শেষ হয়ে যাবে। আমার ধারনা, বাজেট সমস্যা ছিল। এ কারণে হয়তো কাজটি শুরু হচ্ছে না।