‘মডেল মৌ বলায় আমি ভীষণ বিব্রত ও বিরক্ত’

সাদিয়া ইসলাম মৌ

মডেল মৌ বললেই বাংলাদেশে এখনো একজনের ছবিই সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তিনি সাদিয়া ইসলাম মৌ। কয়েক দশকের ক্যারিয়ারে মডেল হিসেবে মৌ আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী একটি নাম। অথচ কথিত এক মডেল ও অভিনেত্রীর কারণে আজ বিব্রত ও বিরক্ত আসল মৌ। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে আজ বুধবার দুপুরে মডেল ও অভিনয়শিল্পী মৌ তাঁর বিরক্তি ও ক্ষোভের কথা জানান।

সাদিয়া ইসলাম মৌ

বলেছে, “একটু দেখেন না, মৌয়ের কী হয়েছে!” কিছু জায়গায় সেই মেয়ের ছবি প্রকাশিত হয়েছে, আর কিছু জায়গায় শুধু রিপোর্ট হয়েছে, মডেল মৌ হিসেবে—যে কারণে অনেকে কনফিউশনে পড়ে গেছে, যা সত্যিই আমার জন্য বিরক্তির ও বিব্রতকর।’

সাদিয়া ইসলাম মৌ

এই ঘটনায় অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ, কাউকে মডেল ও অভিনয়শিল্পী হিসেবে প্রচারের আগে অবশ্যই খতিয়ে দেখবেন। সমাজে এই ধরনের অপকর্মের কারণে সেনসেশন তৈরি হয়। দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে সত্যিকারের শিল্পী ও মডেল সম্পর্কে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়।’

গোয়েন্দা অভিযানে গত সোমবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোড থেকে গ্রেপ্তার হন মরিয়ম আক্তার মৌ।

নাচ ও মডেলিংয়ের জনপ্রিয় তারকা সাদিয়া ইসলাম মৌ

তার আগে ঢাকার বারিধারা থেকে গ্রেপ্তার হন ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, ঢাকার দুই এলাকা থেকে মডেল ও অভিনয়শিল্পী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপরই বিনোদন অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে, গ্রেপ্তার হয়েছেন মডেল মৌ।

সাদিয়া ইসলাম মৌ বলেন, ‘মানুষের নামের সঙ্গে মিল থাকতেই পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত কাউকে গ্রেপ্তারের পর যাচাই করে তাঁর পরিচয় সবার সামনে আনা। মডেল মৌ হিসেবে তো এখন পর্যন্ত সবাই আমাকেই চেনে।

সাদিয়া ইসলাম মৌ

অভিনয় অঙ্গনে মৌ নামে যদিও দুই-একজন আছেন, কিন্তু মডেল মৌ এখনো একজনই। মডেল মৌ বলায় আমি ভীষণ বিব্রত ও বিরক্ত হয়েছি। যদিও আমাকে কেউ ফোন করেনি, ফালতু কথাও বলেনি। কিন্তু আমার আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও বন্ধুবান্ধবদের অনেককে বিরক্ত করেছে।