মায়ের জন্মদিনে কেন এলোমেলো লাগে দীঘির

বাবা সুব্রত ও মা দোয়েলের সঙ্গে ছোট্ট দীঘি
ছবি : সংগৃহীত

‘পরিবার ও কাছের মানুষদের জন্মদিন নিয়ে মায়ের মতো এত আগ্রহ অন্য কারও মধ্যে দেখিনি। কারও জন্মদিন এলে মা খুব খুশি মনে নানা আয়োজন করতেন। আমিও ভাবতাম, একদিন অনেক বড় করে মায়ের জন্মদিনের আয়োজন করব। কিন্তু এখন মায়ের জন্মদিনে কেন যেন এলোমেলো লাগে। মা নেই, এখনো ভাবতে পারি না।’ কথাগুলো বলে অনেকক্ষণ চুপচাপ থাকেন দীঘি। প্রার্থনা ফারদীন দীঘির মা প্রয়াত অভিনেত্রী দোয়েলের আজ জন্মদিন।

মায়ের জন্মদিন কখনো ভোলেন না দীঘি। প্রতিবার ভাবেন, এদিনে মাকে স্মরণ করে কেক কাটবেন। কিন্তু দিনটা যতই এগিয়ে আসে, ততই মনটা ভারী হতে থাকে দীঘির। একটা দোয়ার আয়োজন ছাড়া আর কিছুতে আগ্রহ পান না তিনি। কেবল মায়ের নানা স্মৃতি মনের ভেতর ভাসে। অথচ মা থাকলে কত কিছু করা হতো! দীঘি বলেন, ‘এখনো আমি মায়ের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছি। সুখে-দুঃখে প্রথম মায়ের কথাই মনে পড়ে। চেষ্টা করি মায়ের মতো হয়ে উঠতে।’

দীঘি তখন অনেক ছোট
ফেসবুক

বলা যায়, অকালেই চলে গেছেন দোয়েল। দীঘি তখন অনেক ছোট। খুব কম সময়ই তিনি মাকে পেয়েছেন। জীবনের চলার পথ ও ক্যারিয়ারের প্রতিটি ক্ষেত্রে দীঘি মনে করেন, মা তাঁর পাশেই আছেন। তিনি বলেন, ‘আমার চিন্তাভাবনা একদম মায়ের মতো। এটা আমি বুঝতে পারি। বাবাও তাই বলেন। মা সব সময় পজিটিভ চিন্তা করতেন। এ কারণে আমি কখনোই আশা হারাই না।’

মায়ের এই ছবিটি আজ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন দীঘি
ফেসবুক

খুব ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন, তবু মায়ের কাছ থেকে পাওয়া কী কী এখনো নিজের মধ্যে লালন করে রেখেছেন? এমন প্রশ্নে দীঘি বলেন, ‘আমার যা কিছু, সবই মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। আমার আচার-আচরণ মায়ের মতো। আমি সবার সঙ্গে মায়ের মতো ব্যবহার করার চেষ্টা করি। শুটিংয়ে দেখতাম, সবাই মায়ের সঙ্গে কথা বলছেন। মা সবার সঙ্গে সহজে মিশতে পারতেন। সব সময় ভালো ব্যবহার করতেন, অনেককে সাহায্য করতেন। এখনো আমি যেকোনো কাজের শুরুতে ভাবি, আমার জায়গায় মা হলে কী করতেন, আমিও সেটাই করি। আমি মায়ের মতো হতে চাই। হয়তো এ জন্যই আমি এখনো মায়ের ছবি বারবার দেখি।’

শৈশবে মা দীঘিকে সাজিয়ে দিতেন
ছবি: ফেসবুক থেকে

শৈশবে মা দীঘিকে সাজিয়ে দিতেন। ছোট্ট দীঘি তাকিয়ে থাকতেন মায়ের দিকে। দেখতেন মায়ের সাজ। এখনো তিনি মায়ের মতো সাজতে পছন্দ করেন। দীঘি বলেন, ‘আমার শুটিংয়ে সারাক্ষণ যেন মা থাকেন, কারণ সবাই ঘুরেফিরে মায়ের কথাই বলেন। কেউ কেউ মায়ের সঙ্গে তুলনা করে ভালো অভিনয় করতে বলেন। অনেকেই বলেন, বাবা-মায়ের মতো হও। এখনো অভিনয় মনের মতো না হলে ভাবি, ইশ্ যদি মা থাকত, তাহলে শিখিয়ে দিত, কীভাবে আরও ভালো করা যায়।’

লেখাপড়ার পাশাপাশি সিনেমায় অভিনয় করে যেতে চান দীঘি। তাঁর হাতে এখন রয়েছে তিনটি সিনেমার কাজ। সম্প্রতি ‘মানব দানব’ নামের নতুন একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। তাঁর সহঅভিনেতা কলকাতার বনি সেনগুপ্ত। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন বজলুর রাশেদ।

লেখাপড়ার পাশাপাশি সিনেমায় অভিনয় করে যেতে চান দীঘি
ফেসবুক