মিষ্টি চেহারা, মিষ্টি হাসি আর আর্টিস্ট হিসেবেও খুব ভালো কবরী: শবনম

দেখতে দেখতে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়েখ্যাত অভিনয়শিল্পী কবরী মৃত্যুর এক বছর হয়ে গেল। গত বছরের এই দিনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। করোনায় তাঁকে শেষ রক্ষা দেয়নি। মৃত্যুর আগে এই তুমি সেই তুমি নামের একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করছিলেন। এই চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয়ও করছিলেন। কিন্তু পুরো কাজটি শেষ করে যেতে পারেননি। কবরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা কথা বলেছি তাঁর অঙ্গনের সহকর্মী শবনম-এর সঙ্গে। তিনি জানালেন অভিনয়শিল্পী ও মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন কবরী।

শবনম স্মরণ করলেন কবরীকে

আমাদের একসঙ্গে কাজ হয়নি। সেই সুযোগও তৈরি হয়নি। তারপরও আমাদের যেখানে দেখা হতো, একটা সুন্দর কথাবার্তা হতো। কবরী তো ছোট বয়সে চলচ্চিত্রে এসেছে। সবাই তাকে ভালোবাসত। মিষ্টি চেহারা, মিষ্টি হাসি আর আর্টিস্ট হিসেবেও যে খুব ভালো ছিল, এটা নিয়ে বলার তো অবকাশ নেই। এর মধ্যে মৃত্যুর এক বছর হয়ে গেল, ভাবতেই কেমন যেন লাগছে।

দেশের চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম

কবরীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে স্টুডিওতে দেখা হতো। একসঙ্গে কাজ করতে গেলে যেমনটা জানা যায়, একসঙ্গে বসে আড্ডা না দিলে তো ততটা জানা যায় না। কারও সঙ্গে ওঠাবসা করলে অনেক কিছুই জানা যায়—মানুষটা কেমন আরকি। কিন্তু আমাদের সেই সুযোগ হয়নি। আমাদের তো অনেক জুনিয়র ছিল। তবে চলচ্চিত্রের জগতে ভালো কাজ করেছে, রাজনীতিতেও সে দারুণ সফল ছিল বলে আমি মনে করি। এক লাইনে সফল, সেই মানুষটা আরেক লাইনে গিয়ে সফলতা পেয়েছে, তা-ও আবার রাজনীতির মতো মাঠে, এটা তো বড় ব্যাপার। মানুষ হিসেবে এটাই বড় সার্থকতা।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে ‘সুতরাং’ ছবিতে কাজ করেছিলেন কবরী

কবরী ছিলেন একজন পাওয়ারফুল অভিনেত্রী। অনেক সুন্দরভাবে অভিনয় করত। ব্যক্তিগতভাবে স্পষ্টবাদী ছিল। যে কারণে হয়তো অনেকেই তাকে ভুল বুঝত। ভালো-খারাপ দুটিই সে সরাসরি বলে দিত। এটা আমার খুব ভালো লাগত। বাস্তব চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলতে অভিনেত্রী হিসেবে ছিল অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সহজেই যেকোনো চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে যেত, যে কারণে সে ছিল সফল অভিনেত্রী।