‘রেহানা’ কার কেমন লাগল

রেহানা নিয়ে চলছে আলোচনা–সমালোচনা। পিছিয়ে নেই অভিনয়শিল্পীরাও। তবে সবচেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মনে হয় অভিনেত্রীরা। নারী হওয়ার কারণেই কিনা কে জানে, আলাদা করে তাঁদের যেন স্পর্শ করেছে রেহানার একাকিত্ব, সংগ্রাম। এখানে তাঁদেরই কয়েকজনের নির্বাচিত অংশ তুলে ধরা হলো।

‘এটা বাংলার সেরা মুভি’–দীপা খন্দকার
ছবি: সংগৃহীত

দীপা খন্দকার, অভিনেত্রী
এটা বাংলার সেরা মুভি। গল্প, অভিনয়, নির্মাণ এককথায় অসাধারণ। সিনেমাটির নির্মাতা সাদকে নিয়ে গর্বিত। রেহানার বাঁধনকে নিয়ে আমরা গর্বিত। সিনেমাটির পুরো টিমের জন্যই আমরা গর্বিত।

‘বাংলায় একটি আন্তর্জাতিক মুভি দেখেছি’–মৌটুসী বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

মৌটুসী বিশ্বাস, অভিনেত্রী
বাংলায় একটি আন্তর্জাতিক মুভি দেখেছি। জঘন্য পুরুষতান্ত্রিক একটা সমাজে একজন পুরুষ সাদ বৈষম্য নিয়ে একজন নারীর মতো চিন্তা করে নীরবে–নিভৃতে রেহানা বানিয়েছেন। আমার সহকর্মী, সুহৃদয়, পরিশ্রমী আজমেরী হককে ফিনিক্স পাখির মতো পুনরুজ্জীবিত হতে দেখে দারুণ স্বস্তি পেয়েছি। তোমাকে টুপিখোলা অভিনন্দন। একনিষ্ঠতা থেকে ধারাবাহিকতা—সব দিক দিয়েই তুমি অবিশ্বাস্য। ইমু ছিল নিশ্বাস ফেলার জায়গা। ছাত্র ও পুরুষ শিক্ষকটি এত স্বাভাবিক অভিনয় করেছে। সাবেরী আলম, মোতাহের আপা, অধ্যক্ষ এবং অমুসলিম হওয়ার বৈষম্য, একটা চরিত্রের মধ্যে এই সবকিছুকে তুলে ধরাটা সহজ ছিল না। আপনি দারুণ। তুহিন তমিজুল, সারাক্ষণ হাতে ধরে (ক্যামেরাটা) কীভাবে সামলালেন ভাই? রাজীব মহাজন, এহসানুল হক বাবু, ইয়াসির আল হক—পুরো দলকে অভিনন্দন।

‘রেহানা মরিয়ম নুর চলচ্চিত্র আমার কথা বলে’–জ্যোতিকা জ্যোতি
ছবি : ফেসবুক থেকে নেওয়া

জ্যোতিকা জ্যোতি, অভিনেত্রী
এই পুরুষশাসিত সমাজে আত্মসম্মান আর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন প্রত্যেক নারীকে এগিয়ে যেতে হয় প্রতিমুহূর্তে যুদ্ধ করে। সে যুদ্ধ সমাজের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে, সংসারের সঙ্গে, নিজের শরীরের সঙ্গে, মনের সঙ্গে। যুদ্ধ করে করে ক্লান্ত হলেও আত্মসম্মান সেই নারীদের কখনো মাথা নিচু করতে দেয় না। গতানুগতিক নারীদের চেয়ে সে অনেক অনেক আলাদা। ভেতর কুঁকড়ে যাওয়া কষ্টে চোখের পানি সে বেসিনের পানি দিতে দিতে ফ্ল্যাশ করে দেয়। আমিও এ রকম। রেহানা মরিয়ম নুর চলচ্চিত্র আমার কথা বলে, লক্ষকোটি নারীর প্রতিনিয়ত যুদ্ধের কথা বলে।

‘রেহানা দলকে অভিনন্দন’–নাজিয়া হক অর্ষা
ছবি : ফেসবুক

নাজিয়া হক অর্ষা, অভিনেত্রী
বাঁধন আপু, তোমার পারফরম্যান্সটা আমার দারুণ ভালো লেগেছে। এত নিখুঁতভাবে তোমাকে রেহানা করে তোলার জন্য পরিচালককে সত্যিই ধন্যবাদ দিতে চাই। সুন্দর ছবি। রেহানা দলকে অভিনন্দন।

‘আজমেরী হক আপু, আপনি দুর্দান্ত কাজ করেছেন’–নাজিফা তুশি
ছবি : ফেসবুক

নাজিফা তুশি, অভিনেত্রী
সিনেমাটির পুরো সময়, একজন দর্শক হিসেবে এতটাই মোহিত হয়ে ছিলাম, যে চোখের পলক পর্যন্ত ফেলতে পারিনি, ছবিটা ছিল এতটাই আকর্ষী। আজমেরী হক আপু, আপনি দুর্দান্ত কাজ করেছেন, যেভাবে আপনি এই চরিত্রকে শারীরিক ও মানসিকভাবে টেনে নিয়ে গেছেন, তা এটাই মনে করিয়ে দেয় যে পর্দায় সত্যিই আপনি রেহানার জীবন যাপন করেছেন। আর সবশেষে, এই ছবির মেরুদণ্ড সাদকে আমার বিনীত ধন্যবাদ, অসম্ভবকে যিনি সম্ভবে পরিণত করেছেন আর আমাদের চমৎকার একটি চলচ্চিত্র অভিজ্ঞতা দিয়েছেন।