শুটিংয়ে আহত পূজা চেরি

পূজা চেরী

ঢাকার অদূরে টাঙ্গাইলে ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার শুটিংয়ে আহত হয়েছেন ঢালিউড তারকা পূজা চেরি। মূলত একটি মারপিটের দৃশ্যে অংশ নিতে গিয়েই আঘাত পেয়েছেন তিনি, জানিয়েছেন ছবির পরিচালক ও অভিনয়শিল্পী দুজনই।

আহত হলেও রীতিমতো আনন্দে আত্মহারা পূজা। তিনি বলেন, ‘জীবনে যে কয়টি ছবিতে অভিনয় করেছি, সব কটিতেই শাড়ির আঁচল উড়িয়ে চলে এসেছি বলা যায়। এই প্রথম কোনো ছবিতে আমাকে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে এতে আমার কোনো কষ্ট নেই। বরং আনন্দই লাগছে। এমনও মনে হচ্ছে, ব্যথা পেয়েছি তো কী হয়েছে? আরও ব্যথা পেলেও সমস্যা হবে না। আমি চরিত্রের মধ্যে ডুবে থাকতে চাই। চ্যালেঞ্জিং সব চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগছে আমার।’

পূজা চেরি
ছবি : প্রথম আলো

গত সোমবার ‘মাসুদ রানা’র শুটিংয়ের জন্য টাঙ্গাইলে যান পূজা চেরি। পরিচালক সৈকত নাসির জানান, শনিবার তাঁরা পুরো ইউনিট নিয়ে ঢাকায় ফিরবেন। এর আগে গেল মার্চ মাসে চট্টগ্রামেও এই ছবির শুটিংয়ে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে অংশ নেন পূজা। তখন পরিচালক জানিয়েছিলেন, টিলার ২০০ ফুট ওপরে চলছিল শুটিং। যদিও সিনেমায় সেটাকে দেখা যাবে পাহাড় হিসেবে। সেই পাহাড়ের গায়ে দড়ি বেঁধে ঝুলে ছিলেন অভিনেত্রী পূজা চেরি। দড়ি বেয়ে উঠতে আর নামতে হয়েছে তাঁকে। একটা দৃশ্যে আবার পাহাড়ের ওপরে মারপিটও করতে হয়েছে। চট্টগ্রামে আট দিনের শুটিংয়ের প্রায় সব দৃশ্যই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। সেসব দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে বুক, পিঠ ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন পূজা। আর এর সব অভিজ্ঞতাই তাঁর জন্য নতুন। ‘মাসুদ রানা’ ছবিতে প্রথমবারের মতো কোনো ডামি ছাড়াই শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি।

পূজা চেরি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কথা প্রসঙ্গে পূজা জানান, টাঙ্গাইলেও কোনো ডামি ছাড়াই মারপিটের দৃশ্যে অংশ নেন তিনি। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মারপিটের দৃশ্যের একটা পর্যায়ে ইউনিটের লোকজন দেখতে পান, তাঁর পা থেকে রক্ত ঝরছে। এরপর তিনি দেখতে পান, তাঁর ডান পায়ের নখ পুরোপুরি উল্টে গেছে। পূজা বলেন, ‘তখনই প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। ব্যথা ছিল। তাই শুটিং কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়। তবে আমার কাছে কেন যেন ব্যথাটাকে ব্যথাই মনে হচ্ছে না।’

একটি চলচ্চিত্রের আইটেম গানের শুটিংয়ে পূজা চেরী
ছবি : সংগৃহীত

‘মাসুদ রানা’ ছবিতে সোহানা চরিত্রে দেখা যাবে পূজাকে। বছর কয়েক আগে উপন্যাসের ‘মাসুদ রানা’র সঙ্গে পরিচয় হয় পূজার। গল্পের চরিত্রগুলোও তাঁর চেনা। যখন সোহানা চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পান, আনন্দে সেদিন লাফিয়ে উঠেছিলেন তিনি। তখন থেকেই সোহানা চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন এই অভিনয়শিল্পী। সোহানা কীভাবে কথা বলে, কীভাবে তাকায়, কীভাবে হাঁটে, মারপিট করে—এসব আরও নিখুঁতভাবে পড়তে শুরু করেন।

পূজা বলেন, ‘ছবিটি দেখে দর্শক বলবেন, পূজাই সোহানা। এখনো প্রতিনিয়ত সোহানা হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। “মাসুদ রানা” বাজে হয়েছে, “মাসুদ রানা” গল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে, এগুলো বলার কোনো সুযোগই পাবেন না দর্শক। “সুলতান সুলেমান”–এর মতোই জনপ্রিয়তা পাবে “মাসুদ রানা”।’