সংকটাপন্ন এস এম মহসিন, লাগবে প্লাজমা ডোনার

এস এম মহসিন
ছবি : সংগৃহীত

নাট্যজন বাবা এস এম মহসিনকে নিয়ে চিন্তায় আছেন ছেলে রেজওয়ান মহসিন। করোনায় আক্রান্ত এই নাট্যজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বর্তমানে তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে এক ব্যাগ এ পজিটিভ প্লাজমা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্লাজমার আরও ডোনার প্রস্তুত রাখতে। কারণ, অবস্থা সংকটাপন্ন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির আগে এস এম মহসিন পাবনায় ‘অন্তরাত্মা’ ছবির শুটিং করছিলেন। তিনি ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলে জানান ছবিটির পরিচালক ওয়াজেদ আলী।

এস এম মহসিন
ছবি : সংগৃহীত

গত ২ মার্চ তাঁর অংশের শুটিং শেষ হয়। পরদিন তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। টানা ১০ দিনের শুটিং শেষে ঢাকায় ফেরার আগে তিনি জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন। ঢাকায় ফেরার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা এস এম মহসিনকে ৫ এপ্রিল ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কোভিড-১৯ পরীক্ষা শেষে পরদিন দুপুরে জানা যায়, তাঁর করোনা পজিটিভ।

রেজওয়ান মহসিন বলেন, ‘করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ পাওয়ার পর থেকেই হঠাৎ বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আইসিইউ সেবা পেতে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে তাঁকে তেজগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ৭ এপ্রিল রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাবার ফুসফুসের সংক্রমণটা বেশি। এটা নিয়েই বেশি চিন্তার মধ্যে আছি। কাল আরেকবার সিটি স্ক্যান করা হবে। তখন জানা যাবে, সর্বশেষ কী অবস্থা। এদিকে বাবাকে এখন ঘণ্টায় ১৫ লিটার করে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাঝেমধ্যে ৯০–এর নিচে নেমে যাচ্ছে। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।’

এস এম মহসিন
ছবি : সংগৃহীত

এস এম মহসীন প্রায় চার দশক ধরে মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয় করছেন। অভিনয়ে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২০ সালে একুশে পদক পান তিনি। দীর্ঘদিন তিনি চাকরি করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। পাশাপাশি শিক্ষকতাও করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি ২০১৮ সাল থেকে বাংলা একাডেমির একজন সম্মানিত ফেলো।