সত্যজিতের হাত ধরে জয়ার কিশোরীবেলার আনন্দ

জয়া আহসান
ছবি : সংগৃহীত

বর্ণে, বাক্যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন। গদ্যে–পদ্যে বাংলা সিনেমার এই মহারাজাকে ‘সেলাম’ জানাচ্ছেন তারকা, পরিচালক অনেকেই। বিশ্বখ্যাত জাপানি পরিচালক বলেছিলেন, সত্যজিতের সিনেমা না দেখা আর পৃথিবীতে বাস করে চাঁদ–সূর্য না দেখা একই ব্যাপার। ঢালিউড তারকা জয়া আহসান স্মরণ করেছেন সত্যজিৎকে। তাঁর মূল্যায়নে তিনি জানিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সত্যজিৎ যেন আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক।

সত্যজিৎ রায়ের শারীরিক উচ্চতাও ছিল অন্য অনেককে ছাড়িয়ে। ছয় ফুট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার সেই লোক কাজেও সেই স্বাক্ষর রেখেছেন, এগিয়ে আছেন আশপাশের সমসাময়িক সবার চেয়ে বেশ খানিকটা। সেই দিকই ইঙ্গিত করেই জয়া লিখেছেন, ‘বামনদের ভূখণ্ডে তাঁর মাথা ছাড়িয়ে গিয়েছিল সবাইকে। আবার তিনি নিজেও এতটাই উঁচু হয়ে গিয়েছিলেন যে সবাইকে বামন বানিয়ে ছেড়েছিলেন।’

জয়া আহসান
ছবি : প্রথম আলো

জয়ার কিশোরীবেলায় কীভাবে এসে হানা দিয়েছিলেন সত্যজিৎ, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন,  কিশোরীবেলায় আনন্দ আসত সত্যজিতের হাত ধরে। জয়া লিখেছেন, ‘কিশোরীবেলায় তাঁর লেখাই ছিল আমাদের আনন্দের পৃথিবী। কিছুটা বড়বেলায় তাঁর ছবি খুলে দিয়েছিল আমাদের মন। বাংলা হয়ে উঠেছিল আরও নিজের। বুঝেছিলাম, মানুষের অন্ত নেই।’

সত্যজিৎ রায়
ছবি : ফেসবুক থেকে

সত্যজিৎকে নিয়ে জয়ার লেখার শেষাংশে তিনি বাংলা ছবিকে আন্তর্জাতিকীকরণের ক্ষেত্রে সত্যজিতের ভূমিকার কথা বলতে ভোলেননি। তিনি লিখেছেন, ‘পৃথিবীর এক ভাঙা কোণে ছবি বানিয়ে পৃথিবীর চলচ্চিত্রকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন অনেক ওপরে। আজ সত্যজিৎ রায়ের শততম জন্মদিন। আমরা এখনো ফিরে আসছি তাঁর ছবির কাছে। ১০০ বছর পর বোধ করি আরও বেশি করে ফিরে আসতে হবে।’

আজ বাঙালি কিংবদন্তি চলচ্চিত্রনির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মের ১০০ বছর। জয়ার ভাষায়, সময়টা আরও বেশি করে সত্যজিতের প্রতিবাদী, অর্থপূর্ণ, নান্দনিক সিনেমার কাছেই ফিরে আসার।