সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন নায়ক ফারুক

রাজধানীর দুটি বড় হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর এবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশে যাচ্ছেন অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

আকবর হোসেন পাঠান ফারুক
প্রথম আলো

দফায় দফায় জ্বর আসছে নায়ক ফারুকের। প্রায় সব রকমের পরীক্ষা–নিরীক্ষার পরও চিকিৎসকেরা জ্বরের কারণ ধরতে পারছেন না। রাজধানীর দুটি বড় হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর এবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশে যাচ্ছেন অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন ফারুক। সাত বছর ধরে নিয়মিত সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান তিনি। গত শুক্রবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে প্রথম আলোকে ফারুক বলেন, ‘দুই দফা জ্বর আসার পর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। একটু ভালো বোধ করলাম। ছয় দিন পর আবারও জ্বর। ১০২, ৩, ৪, ৫ পর্যন্ত! অসহ্য কষ্ট, বলে বোঝাতে পারব না। ডাক্তাররা সব টেস্ট করিয়েছেন, কিন্তু কী হয়েছে কিছুই বলতে পারেন না। আজ (শুক্রবার) হাসপাতাল বদলে অ্যাপোলোতে এলাম। তারা বোর্ড গঠন করবে।’

এই করোনায় সবকিছু বন্ধ। এরই মধ্যে কীভাবে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন? জানতে চাইলে ফারুক বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাই। সেখানকার ডাক্তারকে আমার শারীরিক অবস্থা জানালে তিনি আমাকে এটা–ওটা খেতে নিষেধ করলেন। পরে তিনি সরকারের কাছে চিঠি লিখেছেন, যাতে আমাকে সেখানকার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি পাওয়া গেছে।’

ঢাকার দুটি হাসপাতালেই ফারুকের করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তাঁর কোভিড–১৯ নেগেটিভ এসেছে। এ ছাড়া টাইফয়েড, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার পরীক্ষাও করা হয়। সবকিছুর ফল নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু জ্বর না সারায় দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে পরিবারের। গত বুধবার ফারুকের শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণের জন্য চিকিৎসকেরা বোর্ড গঠন করেন। তাঁদের ধারণা, অভিনেতা টিভি রোগে ভুগছেন। তবে এখনো নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেননি। ভরসা করতে না পেরে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশে যাত্রা করছেন ফারুক।

প্রায় পাঁচ দশক ধরে ঢালিউড মাতিয়েছেন ফারুক। অভিনয় ছাড়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।