সর্বোচ্চ ভোট ফেরদৌসের আর কে কত ভোট পেয়েছেন

২১ সদস্যের কমিটির এই নির্বাচনে দুটি প্যানেল এবং দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪৪ জন চলচ্চিত্রশিল্পী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন

সারা দিন ভোট গ্রহণ এবং প্রায় সারা রাত ভোট গণনা শেষে আজ শনিবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন। চূড়ান্ত ভোট গণনা শেষ হয় ভোররাত সাড়ে চারটায়। প্রথমে কার্যকরী সদস্য এবং অন্য পদের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। শেষে জানা যায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম। গতকাল শুক্রবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৩৬৫টি। এর মধ্যে বাতিল ব্যালট ২৬টি। ৩৩৯ ভোটের মধ্যে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন

২০২২-২৪ মেয়াদের জন্য সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি পেয়েছেন ১৯১ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পান ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন জায়েদ খান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুন ১৬৩ ভোট পান।

২১৯ ভোট পেয়ে ডিপজল ও ১৯১ ভোট পেয়ে সহসভাপতি পদে রুবেল নির্বাচিত হয়েছেন। সহসাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক জয়ী হয়েছেন ২১২ ভোট নিয়ে। তাঁর কাছে সিনিয়র অভিনেতা সুব্রত হেরেছেন ১২৭ ভোট পেয়ে। এ পদে চিত্রনায়ক রিয়াজ ১৫৬ এবং অভিনেতা ডি এ তায়েব ১১২ ভোট পেয়েছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাহানূর ১৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী আলেকজান্ডার পেয়েছেন ১৫৫ ভোট। আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০৫ ভোট পাওয়া জয় চৌধুরীর কাছে নিরব হেরেছেন ১৩৪ ভোট পেয়ে। আজাদ খান কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন ১৯৩ ভোট পেয়ে। তাঁর কাছে ফরহাদ হেরে গেছেন ১৪৬ ভোট পেয়ে।

কার্যকরী সদস্য পদে সর্বোচ্চ ২৪০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নায়ক ফেরদৌস। এ পদে মৌসুমী পেয়েছেন ২২৫, অঞ্জনা ২২৫, রোজিনা ১৮৫, অরুণা বিশ্বাস ১৯২, আলীরাজ ২০৩, সুচরিতা ২০১, কেয়া ২১২, অমিত হাসান ২২৭, জেসমিন ২০৮ ও চুন্নু ২২০ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন জায়েদ খান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুন ১৬৩ ভোট পান

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা করেছেন পীরজাদা শহীদুল হারুন। তাঁর সঙ্গে কমিশনার হিসেবে রয়েছেন বি এইচ নিশান ও জাহিদ হোসেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে। এবার ১৫তম নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে এবারের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৮ অনুচ্ছেদের (চ) অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা।

এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিজ নিজ প্যানেলের জয় নিশ্চিত করতে কাঞ্চন-নিপুন এবং মিশা-জায়েদ—দুটি প্যানেলের সদস্যরা শক্তভাবে মাঠে নামেন। এ ছাড়া বাতিল হওয়া ১৮৪ জন শিল্পীর ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার হিসাব-নিকাশ, জ্যেষ্ঠ তারকা শিল্পীদের সমর্থন—এসবের কারণে শেষ মুহূর্তে এসে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি শিবিরে বেশ উত্তেজনা ও শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তৈরি করেছিল।