সিডনি থেকে সালমানকে স্মরণ করলেন শাবনূর

সালমান শাহর প্রয়াণের ২৪তম বর্ষের এই দিনে শাবনূরের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর।অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে শাবনূর বললেন, ‘সালমান যদি আজও বেঁচে থাকত, তাহলে জনপ্রিয়তায় সে কোথায় থাকত, তা ধারণা করাও মুশকিল। আমাদের জুটিটা ভারতের উত্তম কুমার আর সুচিত্রা সেনের মতো হতো।’

শাবনূর এখন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীসংগৃহীত

বড় পর্দার জুটি সালমান–শাবনূরের প্রেম নিয়ে কথা হয় আজও। সালমানের নামটি এলে অবলীলায় চলে আসে শাবনূরের নামও। ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা আজও বিশ্বাস করেন, পর্দার মতো বাস্তবেও প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। তবে বরাবরই সেটা অস্বীকার করে এসেছেন এই তারকা। সালমান শাহর প্রয়াণের ২৪তম বর্ষের এই দিনে শাবনূরের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে শাবনূর বললেন, ‘সালমান যদি আজও বেঁচে থাকত, তাহলে জনপ্রিয়তায় সে কোথায় থাকত, তা ধারণা করাও মুশকিল। আমাদের জুটিটা ভারতের উত্তম কুমার আর সুচিত্রা সেনের মতো হতো। শুধু কি তাই, আমাদের দেশের চলচ্চিত্রে আজ যা হচ্ছে, এসব থাকত না।’

সিনেমার দৃশ্য শাবনূর ও সালমান
সংগৃহীত

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মারা যাওয়ার আগে মাত্র ৪ বছরের অভিনয়জীবনে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ। সব কটি সিনেমা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়। জীবনের প্রথম সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’-এ মৌসুমীর সঙ্গে জুটি হয়ে পর্দায় এলেও দ্বিতীয় সিনেমা ‘তুমি আমার’-এ নায়িকা হিসেবে সালমান পেয়েছিলেন শাবনূরকে। এরপর তাঁরা দুজন জুটি হয়ে ১৩টি সিনেমায় অভিনয় করেন। এ জুটির বেশির ভাগ সিনেমা ব্যবসাসফল ও দর্শকনন্দিত হয়। ঢালিউডে এমন কথাও প্রচলিত আছে, শুধু শাবনূরের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে সালমান ও মৌসুমী খুব বেশি ছবিতে অভিনয় করতে পারেননি। তবে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক কখনোই ছিল না বলে জানালেন শাবনূর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সালমান যেহেতু আমাকে ছোট বোনের মতো দেখত, আমিও তাকে সেভাবেই সম্মান করতাম। তবে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক ছিল। সালমানের তুলনায় আমি নাচে বেশি পারদর্শী ছিলাম। সালমান আমাকে প্রায়ই বলত, ‘“আমাকে একটু নাচ দেখিয়ে দে তো।” আমিও আগ্রহ নিয়ে দেখাতাম।’

সিনেমার দৃশ্য শাবনূর ও সালমান
সংগৃহীত

সালমান শাহর সঙ্গে শাবনূরের প্রথম দেখা হয় এফডিসিতে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের পরিচয় হয় ‘তুমি আমার’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে। এটি ছিল এ জুটির প্রথম ছবি। প্রথম ছবিটিই তাঁদের সুপারহিট হয়। শাবনূর বলেন, ‘সালমান যেমন আমাকে ছোট বোনের মতো দেখত, আমিও সালমানকে ভাই ছাড়া অন্য কোনো চোখে দেখতাম না। কিন্তু সালমানের মৃত্যুর পর কিছু লোক আমাদের সম্পর্ক পুঁজি করে ব্যবসা করতে চেয়েছে। কিছু সাংবাদিকও আমাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে, গালগপ্পো লিখেছেন। এসব করে কার কী লাভ হয়েছে, জানি না। অনেক কষ্টে গড়া আমার ক্যারিয়ারকে প্রশ্নবিদ্ধও করতে চেয়েছে। আমি ওসব নিয়ে কখনোই মাথা ঘামাইনি।’