নতুন রূপে 'মহুয়া'

মহুয়া ও নদের চাঁদ চরিত্রে সাদিয়া ইসলাম মৌ ও কবিরুল ইসলাম রতন। ফাইল ছবি
মহুয়া ও নদের চাঁদ চরিত্রে সাদিয়া ইসলাম মৌ ও কবিরুল ইসলাম রতন। ফাইল ছবি

সুদর্শন নদের চাঁদ জমিদারের দেওয়ান। আর রূপবতী মহুয়া বেদে সর্দার হুমরা বেদের পালিত কন্যা। সে ছিল এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। নেত্রকোনার কাঞ্চনপুর থেকে হুমরা বেদে ডাকাতি করে নিয়ে আসে শিশু মহুয়াকে। এই হলো মৈমনসিংহ গীতিকার বিখ্যাত পালা ‘মহুয়া’র গল্প। আর এর কেন্দ্রীয় দুই চরিত্র ‘নদের চাঁদ’ ও ‘মহুয়া’।

বেদেরা ঘাটে ঘাটে নোঙর ফেলে হাটবাজার ও পাড়ায় সাপের খেলা দেখায়। খেলা দেখাতে নদের চাঁদের গ্রামে গেলে মহুয়ার রূপে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে প্রেম নিবেদন করে চাঁদ। মহুয়াও সাড়া দেয়। কিন্তু দুজনের মিলনের বাধা হয়ে দাঁড়ায় সরদার হুমরা বেদে। মহুয়াকে নিয়ে একদিন পালিয়ে যায় নদের চাঁদ। কিন্তু শেষটা বিরহের।
পঁচিশ বছর পূরণ করল নৃত্যলোক সংস্কৃতি কেন্দ্র। এ উপলক্ষে আগামী ২১ ও ২২ এপ্রিল মঞ্চস্থ হবে ‘মহুয়া’ নৃত্যনাট্যটি। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় হবে এর প্রদর্শনী। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর দেন আয়োজকেরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতউল্লাহ, দীপা খন্দকার, অভিনেতা রহমত আলী, মডেল ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ, নৃত্যলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক কবিরুল ইসলাম রতন, কণ্ঠশিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়, চন্দনা মজুমদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘মহুয়া’ একটি স্বপ্ন প্রকল্প। বৃহৎ পরিসরে শিল্প ও সাহিত্যপ্রেমীদের সামনে উপস্থাপনের জন্য কঠোরভাবে এর কারিগরি দিকগুলো সম্পাদনা করা হয়েছে। এবার ‘মহুয়া’-কে দেখা যাবে নতুন রূপে। নৃত্যনাট্যটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ। সংগীত পরিচালনা করেছেন খ্যাতিমান সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী। সংগীতায়োজন করেছেন আলী আশরাফ ও কলকাতার গৌতম দাস। নৃত্য পরিকল্পনা ও গবেষণা করেছেন কবিরুল ইসলাম।