নাটক যাচ্ছে দর্শকের কাছে
ব্যস্ত এই নগরে যানজট ঠেলে অনেকেই সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমি বা বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে যেতে চায় না। আবার ঢাকার বাইরের দর্শকেরও নাটক দেখার সুযোগ কম। তাই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং দেশের জেলা-উপজেলা ও থানা পর্যায়ে মঞ্চনাটককে ছড়িয়ে দিতে এবং মঞ্চনাটকের শিল্পীদের মধ্যে পেশাদার ভাবনা বিকশিত করার লক্ষ্যে চলছে ‘স্বল্প ব্যয়ে নতুন স্থানে নতুন নাটক’ শীর্ষক বিশেষ আয়োজন।
গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে নতুন এই আয়োজন। খিলগাঁওয়ের বালুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুষম নাট্য সম্প্রদায় পরিবেশন করে নতুন নাটক ‘সাধু সমাবেশ’। হাতিরঝিল রেলক্রসিংয়ে মুক্তালয় নাট্যাঙ্গন পরিবেশন করে ‘চতুর ভোলা’।
শনিবার খিলগাঁওয়ের দাসেরকান্দি ইকো পার্ক কর্নারে নাট্যযোদ্ধা ‘নতুন দিনের অপেক্ষায়’, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিতালী সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ আলোর অন্ধকারে, কিশোরগঞ্জ কালীবাড়ি মোড়ে নজরুল চত্বরে রেপার্টরি থিয়েটার ‘জীবন খুঁজে পাবি’, নরসুন্দা লেকসিটি প্রাঙ্গণে একতা নাট্যগোষ্ঠী ‘বাঙালি’ পরিবেশন করে।
মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে এই কর্মসূচির পরিকল্পনা করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, দর্শক নাটকের কাছে নয়, নাটক যাবে দর্শকের কাছে। প্রথাগত থিয়েটারের বাইরে গিয়ে উপজেলা পর্যায়ে নতুন স্থানে নাটক প্রদর্শন করতে চাই। সাধারণ মানুষকে নাটকের দর্শক হিসেবে সম্পৃক্ত করাও আমাদের আরেকটি উদ্দেশ্য। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নাটক তৈরি, অভিনয়রীতিতে বাচিক অভিনয়ের পাশাপাশি সেট, লাইট, পোশাক, মিউজিক, রূপসজ্জা ও প্রপসে গতানুগতিক ধারা অনুসরণ না করেও কীভাবে নতুন ভাবনায় থিয়েটার তৈরি হতে পারে, তার অনুসন্ধান করতে চাইছি আমরা। এতে করে নতুন নাট্যকার ও নির্দেশক গড়ে ওঠার পাশাপাশি নতুন দর্শকও আগ্রহ নিয়ে আসতে পারে এই অঙ্গনে।’
২৫ হাজার টাকা বাজেটে করা হচ্ছে প্রতিটি নাটক। যেখানে লেখক, নির্দেশকের পাশাপাশি ১০ শিল্পীকেও সম্মানী দেওয়া হবে।