মহিলা সমিতি মঞ্চে গাজী কালু চম্পাবতী

বৈরাট নগরের বাদশা শাহ সেকেন্দারের ছেলে শাহ গাজী ও কালু। গাজী বাদশার নিজের ছেলে হলেও কালু তার পালিত। হঠাৎ একদিন গাজী তার ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে যে একটা দরবেশ এসে তাকে দেশ ও সমাজের কাজের কথা বলে। তারপর বাবা মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে গাজী কালু দেশের কাজে দেশ বিদেশে বেরিয়ে পড়ে।
ঝিনাইদহ জেলার বার বাজার এলাকার লোক কাহিনি নিয়ে ‘গাজী কালু চম্পাবতী’ নাটকের পাণ্ডুলিপি তৈরি করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে লোক মুখে গাজী, কালু, চম্পাবতীর কাহিনি এলাকায় প্রচলিত। গাজী কালু চম্পাবতীর মাজারটি এখনো ঝিনাইদহ জেলার বার বাজারের পাশে বাদরগাছি গ্রামে অবস্থিত। এলাকার মানুষ বংশ পরম্পরায় লোকমুখে এই কাহিনিটি বহন করে চলেছে। তাদের মুখ থেকে সংগৃহীত গল্প নিয়ে নাটক ‘গাজী কালু চম্পাবতী’। বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে গতকাল রোববার নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। পরিবেশন করেছে ঝিনাইদহের অঙ্কুর নাট্য একাডেমি। মোঃ আব্দুস শহীদের নাট্যরূপে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন নাজিম উদ্দিন।

মূলত অলৌকিক কিছু ঘটনা নিয়ে নাটকের কাহিনি জমে উঠেছে, অলৌকিক কাহিনি হলেও ধর্মীয় সম্প্রীতির মেল বন্ধন এই নাটকের উপজীব্য। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই লোক কাহিনির গুরুত্ব অপরিসীম। মোঃ নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস ছিলেন নির্দেশক।
নাজিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাজী কালু চম্পাবতী নাটকটির নির্দেশনা দিতে গিয়ে আমাকে অনেক সতর্ক থাকতে হয়েছে। নাটকটি লোক কাহিনি ভিত্তিক এবং তার নিদর্শন এখনো ঝিনাইদহ বার বাজারে অবস্থিত। মূল গল্পের মধ্যে থেকে আধুনিক নাট্যরীতি প্রয়োগ করে পাত্রপাত্রীর শারীরিক কসরতের মাধ্যমে মঞ্চে কাহিনিটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রূপকের মাধ্যমে বর্তমান সমাজের অনেক অসংগতিও হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিজানুর রহমান, তাসলিমা আক্তার, মোসাহেদুজ্জামান টিটো, মোহাম্মদ রাসেল, আরিফ আল আজাদ, সুমাইয়া আক্তার, খাদেজাতুল ইসলাম প্রমুখ।