১৬ বছর পর আবারও 'শিবানী সুন্দরী'

‘শিবানী সুন্দরী’র নাটকের একটি দৃশ্য ফাইল ছবি
‘শিবানী সুন্দরী’র নাটকের একটি দৃশ্য ফাইল ছবি

সোনামতি শহরে বণিক মনোহরের কন্যা রূপে গুণে অনন্যা শিবানী সুন্দরী। সে ভালোবাসে ঋষি সদানন্দের ছেলে নন্দকুমারকে। কিন্তু ঋষি সদানন্দ এই সম্পর্কের কথা জেনে ভীষণ ক্রুদ্ধ হন। কারণ, তার ইচ্ছে নন্দ তারই মতো সন্ন্যাস ধর্ম পালন করে আশ্রমের সেবা করুক।
মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের প্রযোজনা ‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকের গল্পর পটভূমি এটা। সালাম সাকলাইনের লেখা ও দেবাশীষ ঘোষ নির্দেশিত ‘শিবানী সুন্দরী’ মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ১৭তম প্রযোজনা। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও নাটকটি মঞ্চে নিয়মিত প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে। আগামীকাল ২৪ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটির বিশেষ প্রদর্শনী হবে।

‘শিবানী সুন্দরী’ মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের এর ১৭ তম প্রযোজনা।
‘শিবানী সুন্দরী’ মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের এর ১৭ তম প্রযোজনা।

মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের প্রধান মীর জাহিদ হাসান প্রথম আলোকে জানান, কাল নাটকের আগে বিকেল পাঁচটায় দনিয়া পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু-কিশোরদের বর্ণ অঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে। এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভাষাসৈনিক আহমেদ রফিক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ।

১৬ বছর পর আবারও নাটকটি মঞ্চে নিয়মিত প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে।
১৬ বছর পর আবারও নাটকটি মঞ্চে নিয়মিত প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে।

নাটকে দেখা যায়, শিবানী সুন্দরীকে নিয়ে এই নিয়ে ঋষি সদানন্দ ও তাঁর ছেলে নন্দকুমারের পরস্পরের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্তান বাবার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাবা তাকে আশ্রম থেকে বের করে দেন। সন্তান মনের কষ্টে ঋষি ও শিবানী থেকে অনেক দূরে জঙ্গলে চলে যায়। এদিকে শিবানী এ সংবাদ পেয়ে নন্দকে খুঁজতে নিজের রাজ্য ত্যাগ করে।