আমি অত বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী না

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর অভিনয়ে নাম লেখান সুমনা ইয়াসমিন। ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে তাঁর নাটক ‘হরবোলা’। নাটকটি নিয়ে গতকাল তরুণ এই অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো।

প্রথম আলো:

নাটকটিতে যুক্ত হলেন কীভাবে?

আগেও কয়েকটা কাজ করেছি। সেখান থেকে নাটকটির পরিচালক ইবনে জোবায়ের ভাইয়া আমাকে নক করেন। গল্পটা একদম ভিন্ন রকম। আমার মনে হচ্ছিল, একই রকম চরিত্রে কাজ না করে আমার বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে চেষ্টা করা উচিত। সেই জায়গা থেকে কাজটা নিয়ে আগ্রহী হই। নাটকটি অনেকে পছন্দ করেছে।

প্রথম আলো:

আজ মুক্তি পাচ্ছে আপনার আরেক নাটক ‘সাথী’।

নাটকে মফস্‌সলের এক মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। পুরোনো দিনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। আমার পুরোনো দিনের গল্প ভালো লাগে। বিশেষ করে আশি, নব্বইয়ের দশকের জিনিসগুলো আমাকে অ্যাট্রাক্ট (আকৃষ্ট) করে। পরিচালক রুবেল আনুশ ভাইয়া যখন গল্পটা শেয়ার করে তখন বলি, এই রকম গল্পই চাচ্ছিলাম।

‘সাথী’ নাটকের পোস্টার
ফেসবুক থেকে
প্রথম আলো:

কোন ধরনের নাটকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য?

চিত্রনাট্যের ওপর নির্ভর করে। মানুষের জীবন তো অনেক রকম। প্রতিটা জীবনের স্বাদ নিতে চাই। কে কীভাবে জীবন যাপন করে, সেটা চরিত্রের মাধ্যমে জানতে চাই, তুলে ধরতে চাই।

সুমনা ইয়াসমিন
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

ক্যারিয়ার নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

সত্যি বলতে, আমি অত বেশি অ্যাম্বিশাস (উচ্চাকাঙ্ক্ষী) না। মানুষ আমার কাজ পছন্দ করলে কাজটা করে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

প্রথম আলো:

অভিনয়ে কাকে আদর্শ মানেন?

ব্যক্তিগতভাবে ওই রকম কাউকে আইডল মানি না। আমার খুব কম কাজ দেখা হয়। আগের দিনের সিনেমাগুলো দেখি। উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেনের সিনেমাগুলো খুব ভালো লাগে আমার।

প্রথম আলো:

অভিনয়ে এলেন কেন?

আমি পরিকল্পনা করে অভিনয়ে আসিনি। তখন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ছিলাম, ফেসবুকে ভিডিও করতাম। ওখান থেকে ইমরান মাহমুদুল ভাইয়ার সঙ্গে ‘মন বোঝে না’ গানের ভিডিও চিত্রে কাজের প্রস্তাব পাই। এই বছরই কাজটি এসেছে। এরপর এই বছর ফেব্রুয়ারিতে আমার প্রথম নাটক পাঁজর ৩ আসে। এখন পর্যন্ত চারটা নাটকে কাজ করেছি।

সুমনা ইয়াসমিন
শিল্পীর সৌজন্যে
আরও পড়ুন
প্রথম আলো:

জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা কোথায়?

আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা গাজীপুরে। কলেজ পর্যন্ত কোনাবাড়ীতে পড়াশোনা করেছি। এখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছি।