শিল্পকলায় আশীষ খন্দকারের ‘বউদের পাঠশালা’
গত বছরের মার্চে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে অভিনেতা ও নির্দেশক আশীষ খন্দকারের নতুন প্রযোজনা ‘বউদের পাঠশালা’র প্রথম মঞ্চায়ন হয়। তাঁর নির্দেশনায় মলিয়েরের কমেডি নাটকটির ইংরেজি নাম ‘দ্য স্কুল ফর ওয়াইভস’। একই বছর নাটকটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতেও প্রদর্শিত হয়। আবারও শিল্পকলায় আশীষ খন্দকারের এই নাটক দেখতে পারবেন দর্শক। নাটকটির নির্দেশক আশীষ খন্দকার জানিয়েছেন, ‘বউদের পাঠশালা’ এক ঘণ্টার প্রযোজনা । ‘স্পেস অ্যান্ড অ্যাক্টিং রিসার্চ সেন্টার’-এর প্রযোজনায় এই নাটকের স্টুডিও ভার্সন দেখবেন দর্শক।
আশীষ খন্দকার জানান, শিল্পকলার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে ২৪ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত নাটকটি দেখতে পারবেন দর্শক। নাটকটি দেখতে টিকিট কাটা যাবে অনলাইনে।
নাটকের গল্পটি এমন—জনবহুল প্যারিসের চৌরাস্তায় আর্নোলফির বাড়ি। কয়েক দিন পর ধনী বৃদ্ধ তাঁর বাসায় ফিরে আসেন। ইতিমধ্যে তিনি তাঁর ছদ্মনাম রেখেছেন ‘লা সুচি’। ছোটবেলা থেকে আগনিসকে বিয়ে করার ব্যাপারে মনস্থির করে। অনভিজ্ঞ আগনিস, যখন তাঁর বয়স খুব অল্প, তখন থেকেই বৃদ্ধ আর্নোলফি তাঁর সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে এবং নিজের জীবনের সঙ্গে জড়াতে স্বপ্নবিলাসী হন। বাধিত স্ত্রীর মতো আগনিসকে সেই শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন। হঠাৎ আর্নোলফি তাঁর পুরোনো বন্ধু ওরেন্টোর ছেলে হোরেসকে দেখে আনন্দে আপ্লুত হন।
যুবক হোরেস তাঁর বাবা ওরেন্টোর আসার আগেই প্যারিসে চলে আসেন, আর্নোলফির অনুপস্থিতিতে আগনিসের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। হোরেস জানেন না, এই সেই ছদ্মবেশী লা সুচি যিনি কিনা তাঁর বাবার পুরোনো বন্ধু আর্নোলফি। হোরেস আগনিসের সঙ্গে বাঁধনহারা প্রণয় রচনা করেন। ঘটনাচক্রে হোরেস আর্নোলফির কাছেই আগনিসকে পেতে সাহায্য প্রার্থনা করেন। আর্নোলফি আগনিসের কাছে জানতে চান, তাঁর অনুপস্থিতিতে এক যুবক এই বাড়িতে আসেন এবং আগনিসের প্রেম হয়। আর্নোলফি আগনিসকে বলেন, ‘সে যা করছে, সেটি হলো যৌবনের অপব্যবহার।’ তিনি আগনিসকে তাঁর আচরণের দিকে মনোযোগী হতে বলেন।
আগনিস শুধু আর্নোলফিকেই বিয়ে করবেন। আর্নোলফি আগনিসকে ‘বই’ দেযন এবং শিক্ষা নিতে বলেন । কীভাবে বউয়েরা স্বামীর অনুগত থাকবেন। এভাবেই একটি চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে ‘বউদের পাঠশালা’র গল্প । শেষ পর্যন্ত কী হয়, জানতে হলে দেখতে হবে নাটকটি।
বউদের পাঠশালা নাটকের নির্দেশনা ছাড়াও নাটকটি ভাষান্তর ও ডিজাইন করেছেন আশীষ খন্দকার। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ আমিন, তোতো তিমথীয়, আবুল ফজল, মাসুদ রানা, কিংশুক খান, ইফতেখার পলাশ, মানিসা আর্চি ও সংগীত বাড়ৈ।