মাসুম আজিজের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

অভিনেতা মাসুম আজিজছবি: সংগৃহীত

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী ও নাট্যকার মাসুম আজিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, অভিনয়ের মাধ্যমেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন গুণী এই শিল্পী। মাসুম আজিজের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি। সূত্র বাসস।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ জানান, আজ সোমবার স্কয়ার হাসপাতালে রাখা হবে অভিনেতা মাসুম আজিজের মরদেহ। কাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মাসুম আজিজের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের জনগণ সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। মাসুম আজিজের দাফনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

মাসুম আজিজের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২২ অক্টোবর হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে। তাঁর বাবা আখতারুজ্জামান এবং মা সৈয়দা আজিজা সুলতানা। তাঁদের আদি নিবাস পাবনা। অভিনয়শিল্পী পরিচয় ছাড়াও মাসুম আজিজ চিত্রনাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা হিসেবে পরিচিত। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খ্যাতি রয়েছে তাঁর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাহউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মাসুম আজিজ। ‘গহীনে শব্দ’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সনাতন গল্প’ পরিচালনা করেছেন মাসুম আজিজ। ছবিটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। ২০২২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন মাসুম আজিজ।

আরও পড়ুন