ভালো–মন্দ মিলিয়েই দারুণ কেটেছে সময়টা

নুসরাত ইমরোজ তিশাসংগৃহীত
দুই যুগ পার করছে প্রথম আলো। ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। একই বছরে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে নুসরাত ইমরোজ তিশার। সে হিসেবে তিশার পেশাদার অভিনয়জীবন ও প্রথম আলো পাশাপাশি বেড়ে উঠেছে। অভিনয়জীবনের এই দুই যুগের পথচলায় প্রথম আলোকে কীভাবে পাশে পেয়েছেন, তা–ই জানালেন তিশা।

দেখতে দেখতে আমার অভিনয়জীবনের দুই যুগ পার হচ্ছে। এই পথচলার সময়ে প্রথম আলো আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। শিল্পীদের ভাবনাচিন্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সেতু হিসেবে কাজ করে সংবাদমাধ্যম। ‘মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার’–এর মাধ্যমে আমি অনেক দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। অবশ্যই এ জন্য বিশেষ ধন্যবাদ প্রথম আলোকে।

নুসরাত ইমরোজ তিশা

২৪ বছরের পথচলায় কিছু কিছু সময় মনোমালিন্যও যে হয়নি, তা কিন্তু না। এটা সব সময়ই থাকে। একটা কথা সবাই বলে না, পরিবারে হাঁড়িপাতিল একসঙ্গে থাকলে ঠোকাঠুকি লাগবে। মাঝেমধ্যে আমাদের সম্পর্কে ঠোকাঠুকিও লেগেছে। নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানও হয়েছে। ঠোকাঠুকি ও ভালোবাসা দিয়ে ২৪ বছর একসঙ্গে পথচলাটা কম কথা না। ভালো–মন্দ মিলিয়েই দারুণ কেটেছে সময়টা।

তবে আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে তাহলে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমার খবরগুলো যখনই প্রথম আলোর সঙ্গে শেয়ার করেছি, তা গণমানুষের কাছে, ভক্তদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিয়েছে প্রথম আলো।

আরেকটা কথা না বললে নয়, শুরু থেকেই দেখে এসেছি প্রথম আলো তারকাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে চর্চা করে না। আমি যখন কনসিভ করেছি, এটা প্রথম আলোর সাংবাদিকেরা জানতেন, কিন্তু আমরা যেহেতু তখন জানাতে চাচ্ছিলাম না, প্রথম আলোও বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে। তারকাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি তারা বরাবরই শ্রদ্ধাশীল। একজন শিল্পী হিসেবে এসব আমার জন্য অনেক বড় সাপোর্ট। এটা সব সময় আমার ক্ষেত্রে মেনটেইন হয়েছে, বাকিদের ক্ষেত্রে আমি অবশ্য বলতে পারব না।