দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ কথা বলতে শেখে...
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হলো নাটক ‘মুখোমুখি’। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে নতুন নাট্য প্রযোজনা নির্মাণের অংশ হিসেবে নাটকটি প্রযোজনা করেছে ‘থিয়েটার ওয়েব’।
নাটকটির ভাবনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন ধীমান চন্দ্র বর্মন। দর্শকে পরিপূর্ণ পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনের তিন দিক ঘিরে বসানো আসনে নাটকটি উপভোগ করেন সবাই, যেখানে দর্শক ও অভিনেতাদের মধ্যে দূরত্বের দেয়াল ছিল না। অনুষ্ঠানটির শুরুতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক এ এফ এম নুরুর রহমান।
প্রযোজনাটিতে উঠে এসেছে ক্ষমতার বলয়ে ঘেরা স্বার্থপর শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সংগ্রাম, শোক ও প্রতিরোধের আখ্যান। এক শাসকের অন্যায় দমন-পীড়নের ফলে যখন শতসহস্র মানুষ প্রাণ হারায়, তখন সেই শোক থেকে জন্ম নেয় প্রতিবাদের স্পর্ধা। অর্থাৎ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ কথা বলতে শেখে, শুরু হয় প্রতিরোধ। নাটকটি দেখতে দেখতে দর্শকের হাততালিতে মুখর হয়ে ওঠে পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তন।
নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল মামুন, পলি চৌধুরী, ফৌজিয়া আফরিন তিলু, মুজাহিদুল ইসলাম রিফাত, শ্রীকান্ত মন্ডল, সঞ্জিত কুমার দে, সায়মা সেলিম আনিকা, স্বরূপ রতন লালন ও হাসিব উল ইসলাম।
নাটকের নির্দেশক ধীমান চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘“মুখোমুখি”—অভিনেতা ও দর্শক; রাষ্ট্র ও জনগণ। কখনোবা নিজেই নিজের মুখোমুখি। ইতিহাস বলে, জনগণের মুখোমুখি হয়ে অবসান হয় শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচারের। তবু নতুন শাসকেরা জনগণের কথা বলতে শেখে না। স্বার্থের পুরোনো আবর্তেই ঘুরপাক খায় তারা। সারভাইভালের জন্যই তখন মানুষ কথা বলে। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে সবাই কর্তা হয়ে নিজেরা কথা বলতে শুরু করে।’