ভৈরব বইমেলার সমাপনী দিনে ‘তুষার মালা’
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাঁচ দিনব্যাপী একুশে বইমেলার সমাপনী দিনে গীতি নৃত্যনাট্য ‘তুষার মালা’ মঞ্চস্থ হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত নয়টায় একুশে বইমেলার মঞ্চে নাটকটি পরিবেশন করে কিশোরগঞ্জের নাট্য সংগঠন একতা নাট্যগোষ্ঠী। নাটকটির কাহিনি সংগৃহীত। পরিচালনা করেন মানস কর। নাটকটি দর্শকনন্দিত হয়। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নির্বাহী কমিটির সদস্য লেখক অধ্যাপক সুমন রহমান।
‘তুষার মালা’ গীতি নৃত্যনাট্যের গল্পটা রাজকন্যা তুষার মালাকে নিয়ে। মায়ের মৃত্যুর পরে রাজা অনেক দেখেশুনে নতুন মা নিয়ে আসে। নতুন মাকে পেয়ে তুষার মালা ভীষণ খুশি; কিন্তু নতুন রানি তাকে কোনোভাবেই সহ্য করতে পারে না। তুষার মালার সৌন্দর্যকে হিংসা করে সে।
রানির ধারণা, পৃথিবীর সবচেয়ে রূপবতী সে। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সত্যের দর্পণকে ডেকে জিজ্ঞেস করে, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী কে? আয়না বলে, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী তুষার মালা। এতে রানি আক্রোশে ফেটে পড়ে। জল্লাদকে ডেকে তুষার মালাকে হত্যা করার জন্য বনে পাঠায়। কিন্তু জল্লাদ তাকে না মেরে রানিকে এসে মিথ্যা বলে।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন পড়শি, মানস কর, তিশমি, পূজা, মেহেগ, মৌ, তানহা, প্রমি, প্রাচী, আরিত্রা, পরিতী, সৃজা, তাসলিমা, ইউসা, অর্পিতা, স্মরণ, তানজিম, অর্চি।
নাটক মঞ্চস্থ শেষে পরিচালক মানস কর বলেন, এই সমাজে মানুষে মানুষে হিংসা বাড়ছে। পরিবারও হিংসামুক্ত নয়। হিংসার শেষ পরিণতি মানুষের জন্য কী বয়ে নিতে আসতে পারে, তা তুলে ধরতে নাটকটি মঞ্চে আনা হয়েছে।
বইমেলা পরিষদের উপদেষ্টা সাগর রহমান বলেন, ‘আমরা রুচিশীল পরিবেশনা দেখলাম। নাটকটি উপস্থিত দর্শকদের মনের চাহিদা পূরণ করেছে।’