আজ সন্ধ্যায় ‘কালরাত্রি’
রক্তস্নাত লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। ১৯৭১ সালে এই লড়াইয়ে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ সব স্বার্থ ভুলে এক কাতারে এসে দাঁড়ায়। মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান ছিল উল্লেখ করার মতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ও আশপাশের এলাকাকে অবলম্বন করে রচিত হয়েছে লামিসা শিরীন হোসাইনের গল্প। এ গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে নাটক ‘কালরাত্রি’।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রযোজনা ‘কালরাত্রি’। এটি পদাতিক নাট্য সংসদের ৩৮তম প্রযোজনা। লামিসা শিরীন হোসাইনের ‘লোন সারভাইভার’ গল্প অবলম্বনে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছে তানভীর আহমেদ সিডনী। নির্দেশনা দিয়েছেন ওয়াহিদুল ইসলাম।
‘কালরাত্রি’ নাটকের কাহিনিতে তুলে ধরা হয়েছে রক্তস্নাত লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের কথা। ১৯৭১ সালে একজন শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
অসহযোগ আন্দোলনের পর্ব থেকে তাঁরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। মার্চের কালরাতে জগন্নাথ হলের বেঁচে যাওয়া এক ছাত্র জানান সেই রাতের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভয়াল চিত্র সম্পর্কে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন একজন শিক্ষক। সবাই এসে দাঁড়ান এক স্থানে। মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর পথপ্রদর্শকের চোখে যে বাংলাদেশ বেঁচে ছিল, এর কথাই বলা হয়েছে এই নাটকে।
অভিনয় করেছেন শাখাওয়াত শিমুল, সৃজা, মসিউর রহমান, পাপিয়া, ইমরান খান, ইকরামুল ইসলাম, জিনিয়া আজাদ, সালমান শুভ, এস এম লিমন, ওয়াহিদ জিতু, ফরহাদ সুমন, শরিফুল ইসলাম, পলাশ, রাবেয়া, জেনি, কান্তা, জীবন। নাটকটির আলোক নির্দেশনায় অতিকুল ইসলাম, পোশাক ও কোরিওগ্রাফিতে সৈয়দা শামছি আরা, অডিও ভিজ্যুয়ালে হামিদুর রহমান এবং নির্দেশনা উপদেষ্টা সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন।