নাট্যোৎসবে দর্শক–খরা

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে নাট্যদল থিয়েটার (আরামবাগ) আয়োজিত আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। এই উৎসবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ২২টি দল ২২টি নাটক মঞ্চায়ন করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উৎসবের ষষ্ঠ দিন দুটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে—সিরাজগঞ্জে জেলা শিল্পকলা রেপার্টরি নাট্যদলের কারাগারের রোজনামচা ও ময়মনসিংহের বহুরূপী নাট্য সংস্থার আগুনমুখা। জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে, পরীক্ষণ থিয়েটারে নাটকগুলো মঞ্চস্থ হয়।
তবে দর্শকের তেমন সাড়া মেলেনি। দর্শক নাটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান নাট্যদল থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক অশোক রায় নন্দী। তিনি বলেন, সব নাটক ভালো হয় না।

তবে এই নাট্যোৎসবে প্রদর্শিত ৮০ শতাংশ নাটকই ভালো। তবু দর্শক নাটক দেখতে আসছেন না। আগের নাট্যোৎসবগুলোয় ৮০ শতাংশ দর্শক হলেও এবার দর্শক হচ্ছে ৫০ শতাংশ। বন্ধের দিনে দর্শক একটু বাড়লেও তা তুলনামূলক কম।
গত বছর ৫০ বছরে পা দিয়েছে নাট্যদল থিয়েটার। সেই সূত্রে নাট্যদল থিয়েটার (আরামবাগ) উদ্‌যাপন করছে সুবর্ণজয়ন্তী। এই নাট্যোৎসব থিয়েটারের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় পর্ব। আট দিনের এই নাট্যোৎসব শুরু হয়েছে গত শনিবার, চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

চলমান এ নাট্যোৎসব আয়োজন করেছে মূলত থিয়েটারের একাংশ। ১৯৭২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে মূল দলটি। ১৯৮১ সালে মূল দল থেকে বেরিয়ে একই নামে সংগঠিত হয় আরেকটি দল। নাট্যাঙ্গনে তারা ‘থিয়েটার (আরামবাগ)’ নামে পরিচিত। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের নেতৃত্বে মূল থিয়েটার নিয়মিত নাটকের চর্চা করছে।

আজ শুক্রবার উৎসবের সপ্তম দিনে মঞ্চস্থ হবে তিনটি নাটক। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে রয়েছে প্রাঙ্গণেমোরের রক্তকরবী। সোয়া সাতটায় পরীক্ষণ থিয়েটারে রয়েছে শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের কী চাহ শঙ্খচিল এবং সাতটায় স্টুডিও থিয়েটারে রয়েছে যশোরের তির্যক নাট্যদলের চোরেদের লজ্জা হলো।