নগরে জমজমাট ‘সাধু মেলা’

২০১৯ সাল থেকে প্রতি পূর্ণিমায় ‘সাধু মেলা’র আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বলা যায়, প্রতিষ্ঠানটির সমকালীন কার্যক্রমের মধ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য নিয়মিত আয়োজন। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় সাধু মেলা।
সাধু মেলার পরিবেশনায় অংশ নেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাউলসাধক ও শিল্পীরা। বটতলার এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। শিল্পসংস্কৃতির ক্ষমতায়ন ছাড়া বিশ্ব ভালোভাবে বাঁচতে পারবে না, মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই বিশ্ব, বাউলদের চিন্তাচেতনার, সাধনার ধারায় পরিবর্তিত হোক।’ বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিশ্বের যেখানেই যেকোনো হত্যাকাণ্ডে আমরা কষ্ট পাই, কিন্তু তার কোনো প্রতিকার হয় না। এই বিশ্বকে নান্দনিক করতে, বাসযোগ্য করতে আমাদের দেশ থেকে আমরা ঘোষণা করব—এই বিশ্বকে ধ্বংস করতে আমরা দেব না, বরং বিশ্বকে নান্দনিক করতে বাংলাদেশ অনন্য ভূমিকা পালন করবে।’

প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত সাধু মেলায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা এবং আলোচক হিসেবে ছিলেন লালন-গবেষক সৈয়দ জাহিদ হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাউলগান পরিবেশন করেন শিল্পী কুতুব উদ্দিন, উপমা আক্তার ও মো. মাহাবুল ইসলাম। এ শিল্পীদের গান পরিবেশনের পর শুরু হয় আলোচনা পর্ব।

এরপর শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের গান। এ পর্বে গান শোনান বলাই শাহ, জামাল উদ্দিন, টুনটুন ফকির, সমির হোসেন, বাউল রাজীব শাহ ও মো. আরিফুল হক । এ ছাড়া ছিল জ্যেষ্ঠ শিল্পী ওমর আলী, লাভলী শেখ, তাসলিমা আক্তার, বিদ্যুৎ শীল ও মো. মানিকের পরিবেশনা।

সর্বশেষ পরিবেশিত হয় দলীয় সংগীত ‘মিলন হবে কত দিনে...’। দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন নাবিয়া বিনতে মিতুল, ফারুক হোসেন, কৃষ্ণ গোপাল, লিমা খাতুন, মোসেলিম মিয়া, মো. জাহিদুল ইসলাম, ফাহিমা আহমেদ, আবদুল মান্নান তালুকদার, রুমা আক্তার, মো. মিরাজ সিকদার, মো. ফারুক মিয়া, মোছা. মহিমা খাতুন, শাহ নেওয়াজ, রেজাউল করিম, আঁখি বেগম, মমতাজ বেগম, মো. মিজান, মিনারা হক, মো. আবু বকর সিদ্দিক, মো. নুরুল ইসলাম শেখ, মো. শাহেদ আলী, স্বর্ণা খান, সামসামু আলম, রুমানা ইয়াসমিন, প্রিয়া বিশ্বাস প্রমুখ।