ঢাকা থিয়েটারের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার পরিবর্তে সন্ধ্যা ৭টায়

বিয়ের দৃশ্যে রোজী সিদ্দিকী, দুই দশক আগেছবি: ঢাকা থিয়েটারের সৌজন্যে

প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছে ‘ঢাকা থিয়েটার’। জাতীয় নাট্যশালায় দুই দিনব্যাপী নাটক ও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে আসছে দেশের পুরোনো এই নাট্যসংগঠন। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রয়াত নাট্যকার সেলিম আল দীনের নাটক ‘প্রাচ্য’ মঞ্চে আনছে ঢাকা থিয়েটার। এই নাটকে অভিনয় করেছেন পুরোনো-নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা। সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার পরিবর্তে জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ‘ঢাকা থিয়েটারের’ প্রধান নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রথম আলোকে জানান, সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান শুরুর কথা ছিল আজ বিকেল ৫টায়। কিন্তু এদিন ঢাকায় একাধিক রাজনৈতিক সমাবেশ থাকায় অনুষ্ঠান দুই ঘণ্টা পিছিয়ে শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়, পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনের লবিতে। অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ম হামিদ ও সৈয়দ সালাউদ্দীন জাকী। রাত ৮টায় মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘প্রাচ্য’।

আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবে ‘প্রাচ্য ও দ্বৈতাদ্বৈবাদী’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী, যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে ‘প্রাচ্য’ নাটকের প্রদর্শনী হবে টিকেটের বিনিময়ে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় নাটকটির কারিগরি প্রদর্শনী হয়েছে।

শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে প্রাচ্য নাটকের মহড়া
ছবি: আশরাফুল আলম

স্বাধীন বাংলাদেশের থিয়েটার চর্চায় ‘পথিকৃৎ’ নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’। এ নাট্যদলের প্রথম আহ্ববায়ক ছিলেন তিনজন। তাঁরা হলেন সেলিম আল দীন, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও ম হামিদ। যুদ্ধফেরত কয়েকজন তরুণ ১৯৭৩ সালের ২৯ জুলাই প্রতিষ্ঠা করেন এ নাট্যদল। ওই বছরের নভেম্বরে প্রয়াত নাট্যকার ও অধ্যাপক সেলিম আল দীনের লেখা ‘সংবাদ কার্টুন’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল ঢাকা জেলা ক্রীড়া সমিতি মিলনায়তনে। ‘ঢাকা থিয়েটারের’ প্রথম সেই নাটকের টিকিটের দাম ছিল দুই টাকা ।
‘ঢাকা থিয়েটারের’ তত্ত্বাবধানে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার’।

‘ঢাকা থিয়েটারে’ একসময় নিয়মিত অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী আফজাল হোসেন, হুমায়ুন ফরীদি, সুবর্ণা মুস্তাফা, রাইসুল ইসলাম আসাদ, জহির উদ্দিন পিয়ার, শহীদুজ্জামান সেলিম, শমী কায়সার, ফারুক আহমেদ, মাজনুন মিজান। যাঁদের অনেকেই পরে পর্দায় অভিনয় করে দেশজুড়ে পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, নাট্যশিক্ষক ও নির্দেশক সৈয়দ জামিল আহমেদও যুক্ত ছিলেন এই নাট্যদলের সঙ্গে।

১৯৭৩ সালে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চে আনে ‘সংবাদ কার্টুন’, ‘সম্রাট ও প্রতিদ্বন্দ্বীগণ’। ১৯৭৪ সালে ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’, ‘বিদায় মোনালিসা’। বিভিন্ন সময়ে ‘চর কাঁকড়া’, ‘ফণিমনসা’ , ‘শকুন্তলা’, ‘মুনতাসির ফ্যান্টাসি’, ‘ধূর্ত ওই’, ‘কেরামত মঙ্গল’, ‘কিত্তনখোলা’, ‘ত্রিরত্ন’, ‘শকুন্তলা’, ‘হাতহদাই’, ‘যৈবতী কন্যার মন’, ‘চাকা’, ‘বনপাংশুল’, ‘বিনোদিনী’, ‘প্রাচ্য’, ‘একাত্তরের পালা’, ‘নিমজ্জন’, ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’, ‘দ্য টেম্পেস্ট, নাটকগুলো মঞ্চে এনেছে ঢাকা থিয়েটার।