তিন নাটক নিয়ে ‘যুগোত্তীর্ণে বাতিঘরের নাট্যোৎসব’
২০১১ সালে যাত্রা শুরু হয় বাতিঘর থিয়েটারের। প্রতিষ্ঠার ১৩ বছর উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে বাতিঘর থিয়েটার। শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে যুগোত্তীর্ণে বাতিঘরের নাট্যোৎসব। প্রদীপ জ্বালিয়ে ও বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
প্রথম দিন জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে নাট্যদলটির আলোচিত নাটক ‘ঊর্ণাজাল’ প্রদর্শিত হয়েছে। উৎসবে বিশেষ অতিথির ক্ষেত্রেও বাতিঘর এনেছে বৈচিত্র্য। ‘ঊর্ণাজাল’–এর প্রদর্শনীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ১৩ সাধারণ দর্শক। রোববার সন্ধ্যায় একই মিলনায়তনে রয়েছে ‘মাংকি ট্রায়াল’। আজকের প্রদর্শনীতে থাকবেন ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকমণ্ডলী।
উৎসবের শেষ দিন আগামী সোমবার প্রদর্শিত হবে ‘ভগবান পালিয়ে গেছে’। তৃতীয় দিনের অতিথি হিসেবে থাকবেন বাতিঘর থিয়েটারের সদস্যদের মা-বাবা। পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে প্রদর্শিত হবে নাটক। উৎসবের তিন দিন বিকেল পাঁচটা থেকে নাটক শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির বহিরাঙ্গনে থাকছে গান, নাচ, মাইমসহ নানা পারফর্মিং আর্ট। এ ছাড়া উৎসবের প্রতিদিন নাটক শেষে থাকবে গান, বাজনা ও আড্ডা।
বাতিঘর থিয়েটারের পরিচালক মুক্তনীল বলেন, ‘গত ১৩ বছরে আমাদের যাত্রা বাতিঘরের সদস্যদের একাত্মতা ও নিরলস নাট্য সাধনার ফসল। আমরা দর্শকদের কাছে শিল্পমানসমৃদ্ধ নাটক পৌঁছে দিতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। দর্শকের ভালোবাসা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
এ পর্যন্ত দলটি মঞ্চে এনেছে ১৩টি নাটক। উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘মাংকি ট্রায়াল’, ‘ভগবান পালিয়ে গেছে’, ‘হিমুর কল্পিত ডায়েরি’, ‘প্যারাবোলা’।