সংলাপবিহীন নাটকে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের গল্প

আজ বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটি মঞ্চস্থ হবেসংগৃহীত

আট বিভাগীয় শহরের ১৫ প্রতিবন্ধী শিল্পীকে নিয়ে একটি নাটক মঞ্চায়নের উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটার। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংলাপবিহীন নাটকটির নাম ‘নৈঃশব্দ্যে ’৭১’। নির্দেশনা দিয়েছেন গ্লাসগোভিত্তিক মঞ্চনির্দেশক রমেশ মেয়্যাপ্পান। বাক্‌ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী এই নির্মাতা ভিজ্যুয়াল ও ফিজিক্যাল থিয়েটারপদ্ধতির সমন্বয়ে ব্যতিক্রম এই নাটক তৈরি করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটি মঞ্চস্থ হবে।
মুক্তিযুদ্ধের পূর্বের সময়, কীভাবে যুদ্ধ শুরু হলো এবং যুদ্ধের পরিণতির গল্প তুলে ধরার মাধ্যমে এ নাটকে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস দেখানো হবে। ইশারা ভাষায় নির্দেশক রমেশ মেয়্যাপ্পান বলেন, ‘আমাকে যখন ইশারা ভাষায় বাংলাদেশের নামের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়, তখন আমি এই দেশের ইতিহাসের পেছনের আবেগ বুঝতে সক্ষম হই। অভিব্যক্তির মাধ্যমে কষ্ট ও বেদনার অসাধারণ এই ইতিহাস তুলে ধরতে এই দুঃসাহসী দল যে আগ্রহ দেখিয়েছে, তা সত্যিই অতুলনীয়।’

ঢাকা থিয়েটারের প্রধান নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের মূলধারায় সংযুক্ত করা আমাদের লক্ষ্য। ঢাকা থিয়েটার প্রতিবন্ধী মানুষের সৃষ্টিশীল প্রতিভা কাজে লাগাতে উদ্যোগী হয়েছে। গত দুই বছর দেশের আটটি বিভাগে কর্মশালা করে আমরা শতাধিক প্রতিবন্ধী মানুষকে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত করেছি। তাদের মধ্য থেকে বাছাই ১৫ প্রতিবন্ধী অভিনেতাকে নিয়ে ব্রিটিশ পরিচালক রমেশ মেয়্যাপ্পন এক বছর সময় নিয়ে তিন কিস্তিতে ৪০ দিন মহড়া করে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে “নৈঃশব্দ্যে ’৭১” নাটকটি নির্মাণ করেছে। প্রতিবন্ধীরা তাঁদের মতো করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বয়ান তৈরি করেছেন।’

বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০ বছর এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে নাটকটি নির্মিত হয়েছে
সংগৃহীত

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০ বছর এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে নাটকটি নির্মিত হয়েছে। ২০২১ ও ২০২২ সালে নাটকটির দুটি পরীক্ষামূলক মঞ্চায়ন হয়েছিল। নাটকটি ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজঅ্যাবিলিটি আর্টস রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্পের একটি আয়োজন।

২০১৯ সালে ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। এর পর থেকে এটি দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে চার ধরনের প্রতিবন্ধী শিল্পী এবং থিয়েটারশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ডেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য ডিজঅ্যাবিলিটি এবং শিল্পকলা খাতের মধ্যে সেতুবন্ধ ও আস্থার জায়গা তৈরি করা।