‘বিয়াল্লিশের বিপ্লব’ দিয়ে আবারও যাত্রাপালা নিয়ে আসছে উদীচী

বিয়াল্লিশের বিপ্লব যাত্রায় শিল্পীরা

আবারও মঞ্চে যাত্রাপালা নিয়ে আসছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। দীর্ঘ বিরতির পর একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর যাত্রাপালা ‘বিয়াল্লিশের বিপ্লব’। উদীচীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশপ্রেম ও ব্রিটিশবিরোধী বক্তব্য প্রচার করে চারণকবি মুকুন্দ দাস শুরু করেছিলেন ‘স্বদেশি যাত্রা’। সেই ব্রিটিশ ভারতের স্বদেশি আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে প্রসাদ কৃষ্ণ ভট্টাচার্য রচিত যাত্রাপালা ‘বিয়াল্লিশের বিপ্লব’।

আরও পড়ুন

যাত্রাপালাটি নির্দেশনা দিয়েছেন যাত্রাশিল্পী ও নির্দেশক প্রয়াত ভিক্টর দানিয়েল। সহযোগী নির্দেশক হিসেবে রয়েছেন মোফাখখারুল ইসলাম জাপান। একটা সময় ‘যাত্রাপালা’ ছিল বাঙালির বিনোদনের মাধ্যম। কালের আবর্তনে যাত্রাপালা এখন ধীরে ধীরে বিলুপ্তের পথে। এই সংস্কৃতিকে ধরে রাখার প্রয়াস করে যাচ্ছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মনে করে, অনেক আগে থেকেই ‘যাত্রাশিল্প’ বাঙালি সমাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশের প্রাচীন গৌরবময় লোকনাট্যধারা এই ‘যাত্রা’। যাত্রা লোকজ সংস্কৃতির মৌলিক শিল্পমাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সম্পদ।

একাত্তরে স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রত্যাশা ছিল এই শিল্পমাধ্যম আমাদের সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়ে সমাজে একটি নবজাগরণ সৃষ্টি করবে। কিন্তু পঁচাত্তরের দুঃখজনক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় ইতিবাচক অর্জনগুলোর অবক্ষয়ের পাশাপাশি এই লোকজ সাংস্কৃতিক ধারাও উল্টো রথে চলতে শুরু করে।

বিয়াল্লিশের বিপ্লব যাত্রায় শিল্পীরা

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সমাজের সকল অপসংস্কৃতি বিতাড়ন করে গণমানুষের সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্যসহ বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ, লালন, প্রচার এবং প্রসারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই মহৎ কর্মকাণ্ডে নিবেদিত উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। তাই যাত্রাশিল্পের এই সংকটকালে এগিয়ে আসা অন্যান্য প্রগতিশীল ঘরানার মতো উদীচীরও দায়িত্ব।

আরও পড়ুন