বেতার ধারাবাহিকে আসাদুজ্জামান নূর

রেকর্ডিংয়ের ফাঁকে শতাব্দী ওয়াদুদ, আজাদ আবুল কালাম ও আসাদুজ্জামান নূর। ছবি: সংগৃহীত

‘জীবন জয়ের গল্প’ নাটকটিতে পত্রিকার সম্পাদকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর, সাংবাদিক চরিত্রে আছেন তানিয়া আহমেদ। নাটকে দেখা যায়, সম্পাদক নূরের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে সাংবাদিক তানিয়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যান। সেখানকার মানুষের সফলতার গল্পগুলো প্রতিবেদন আকারে তুলে আনেন পত্রিকার পাতায়। নাটকের অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, আজাদ আবুল কালাম, শতাব্দী ওয়াদুদসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী।

আরও পড়ুন

নাটকের একেকটি পর্বে উঠে এসেছে জীবন বদলে যাওয়া মানুষের বাস্তব কাহিনি। দারিদ্র্য, নির্যাতন, অপরাধ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে প্রতিষ্ঠা লাভ করা মানুষের জীবনের নানা ঘটনা দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়। নাট্যকার জানান, এসব ঘটনার প্রেরণা নিয়েই নাটকটি লিখেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নাট্যকার তারিক মনজুর বলেন, ‘বর্ষাকালে কাঁচা রাস্তায় যাতায়াতের দুর্ভোগের প্রতিবাদে কয়েকজন কৃষক রাস্তায়

ধানের চারা রোপণ করেছিলেন। প্রথম আলো পত্রিকায় সেই সংবাদ ছাপা হয়। ধারাবাহিকের একটি পর্বে সেই কাহিনি আনা হয়েছে।’ অ্যাসিডদগ্ধ হওয়ার পরও দমে না যাওয়া নারী, বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক, নিজ উদ্যোগে রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষরোপণ করা তরুণসহ বিভিন্ন প্রেরণাদায়ী মানুষের কাহিনি নিয়ে নাটকের পর্বগুলো সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশ বেতারের জনসংখ্যা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেলের জন্য রচিত ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করেছেন সৈয়দা ফরিদা ফেরদৌসী।

তাঁর ভাষ্য, ‘বেতারের নাটকে বড় বড় অভিনয়শিল্পীর অংশগ্রহণের ফলে নাটকের শ্রোতা সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেড়েছে।’ তিনি আরও জানান, গ্রামের চেয়ারম্যানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ। তাঁর জমিতে চাষ করে একটি পিতলের কলসি পান কৃষক আজাদ আবুল কালাম। গ্রামে খবর রটে যায় যে এই কলসিতে মোহর আছে। তারই খবর জানতে পত্রিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর সাংবাদিক তানিয়াকে অ্যাসাইনমেন্ট দেন। পরে জানা গেল যে কলসিতে মোহর নেই, আছে শুধু মাটি। লোভ না করতে নাটকটির মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে।

এর আগেও আসাদুজ্জামান নূরকে নিয়ে তিন পর্বের একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হয়েছে বলেও জানান প্রযোজক। তিনি বলেন, আসাদুজ্জামান নূরের মতো বরেণ্য অভিনেতা নাটকের জন্য সময় দিয়েছেন, এটাই তাঁদের জন্য বড় প্রাপ্তি। এ ছাড়া নাটকটিতে অভিনয় করা অন্য শিল্পীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
‘জীবন জয়ের গল্প’ ধারাবাহিকটি প্রচারিত হচ্ছে প্রতি মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে, এফএম ১০৬ ও ঢাকা-ক ৬৯৩ কিলোহার্জে।