পুতুলনাট্য দিবসে বর্ণিল আয়োজনে গুণীজন সম্মাননা

বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে গুণীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘ঝুমুর বীণা পুতুলনাচ’–এর স্বত্বাধিকারী চম্পা বেগমকেসংগৃহীত

শৈশবে পুতুল খেলেনি, এ রকম খুব কম লোকই খুঁজে পাওয়া যাবে, সে ছেলে কি মেয়ে যে–ই হোক। নিজ হাতে বানানো পুতুল, মায়ের বানিয়ে দেওয়া পুতুল, মেলায় কেনা পুতুল সঙ্গী হয়েছে শৈশবের। বর, বউ, ছেলে, মেয়ে, কুকুর, বিড়াল, গরু, ঘোড়া, হাতি, নৌকা—আরও কত রকমের পুতুল। পুতুল খেলা নিয়ে হইচই, ঝগড়াঝাঁটি, কান্নাকাটি, মান-অভিমান এসবই বোধ হয় অনেকেরই ছোটবেলার স্মৃতিজাগানিয়া গল্প। সে রকমই পুতুলের সমারোহ ছিল শিল্পকলা একাডেমিতে, আজ ২১ মার্চ বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবসে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবস পালিত হয়েছে।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় স্টুডিও থিয়েটার হলে আলোচনা ও পুতুলনাট্যপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ঢাকা পাপেট থিয়েটারের পরিবেশনায় দুষ্টু ‘রাখাল’ পুতুলনাট্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে পুতুলনাট্যের ওপর আলোচনা করেন নাট্যব্যক্তিত্ব গোলাম সারোয়ার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক রশীদ হারুন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। পুতুলনাট্যের প্রসারে এবং সংস্কৃতির মাধ্যম হিসেবে একে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নানামুখী ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি।
বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে গুণীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘ঝুমুর বীণা পুতুলনাচ’–এর স্বত্বাধিকারী চম্পা বেগমকে।

পুতুলনাট্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় শিশু–কিশোরদের বয়ঃসন্ধিকালীন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সচেতনতার বার্তা প্রদানসহ পুতুলনাট্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে নানামুখী বার্তা ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছে ‘ঝুমুর বীণা পুতুলনাচ’।