চার হাজার শিল্পী অংশ নেবেন এ উৎসবে

উদ্বোধনী আলোচনার পর সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার প্রযোজিত নাটক ‘পোহালে শর্বরী’

আজ শুরু হচ্ছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ শুরু হয়ে চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এবারের উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের ১২২টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের আনুমানিক ৪ হাজার শিল্পী অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন উৎসবের আয়োজকেরা। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমি এবং আইএফআইসি ব্যাংকের সহযোগিতায় গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২২ উদ্‌যাপিত হবে।
২১ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল, সংগীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তন এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে চলবে এ উৎসবে।

যেখানে ভারতের ৪টি দল, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৪০টি নাট্যদলেরসহ মোট ৪৪টি মঞ্চনাটক প্রদর্শন; ১৮টি সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যদল; উন্মুক্ত মঞ্চে ৯টি পথনাটক; ১৫টি আবৃত্তি সংগঠন; ১২টি সংগীত সংগঠন; ৭টি নৃত্য সংগঠন; ১০টি শিশু দল একক আবৃত্তি ও একক গান পরিবেশনা থাকবে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করবেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ওয়ার্দা রিহাবের পরিচালনায় উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করবে নর্তনালয়। এ ছাড়া উদ্বোধনী পর্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন রামেন্দু মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, লিয়াকত আলী লাকী, মো. আহ্কাম উল্লাহ প্রমুখ।

উদ্বোধনী আলোচনার পর সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার প্রযোজিত নাটক ‘পোহালে শর্বরী’। সুরেন্দ্র বর্মার মূল রচনা থেকে অনুবাদ করেছেন অংশুমান ভৌমিক এবং নির্দেশনা দিয়েছেন রামেন্দু মজুমদার। একই সন্ধ্যায় পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে পুলিশ থিয়েটারের নাটক ‘অভিশপ্ত আগস্ট’। রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদুর রহমান। স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে মানিকগঞ্জের নিরাভরণ থিয়েটার প্রযোজিত নাটক ‘জুঁইমালার সইমালা’। রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন আনন জামান। উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত এবং মঞ্চনাটক প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হবে। মঞ্চনাটক দেখতে টিকিট কিনতে হবে।

উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, এই উৎসব কয়েক বছর ধরে ভারত-বাংলাদেশের শিল্পী ও সাধারণ মানুষের সাংস্কৃতিক ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে অনেক মানুষের মেলবন্ধন ঘটবে। নতুন প্রজন্ম নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি দায়িত্ববোধে আবদ্ধ হবে।