সকালের খবরের কাগজ...

শিল্পীরা তাঁদের সুরের মাধুর্যে সন্ধ্যাটি মনোজ্ঞ করে তুলেছিলেন শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনেসংগৃহীত

অনুষ্ঠানের নাম ‘সকালের খবরের কাগজ’। তবে সংবাদপাঠ বা সংবাদপত্রের পর্যালোচনা ছিল না অনুষ্ঠানে। ছিল সুরের জাল বোনা। গতকাল শুক্রবার সৃজনশীল গানের দল নিবেদন আয়োজন করেছিল ব্যতিক্রমী এ সংগীতসন্ধ্যা। গান শুনিয়েছেন বিভিন্ন ধারার গানের খ্যাতনামা ও নবীন শিল্পীরা। বাণী আর সুরে গানগুলো ছিল বৈচিত্র্যময়। শিল্পীরা তাঁদের সুরের মাধুর্যে সন্ধ্যাটি মনোজ্ঞ করে তুলেছিলেন শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে।
গানের ডালা সাজানো হয়েছিল মধ্যযুগের পদকর্তা চণ্ডীদাস থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ের প্রথিতযশা গীতিকবিদের ২০টি গান দিয়ে। এর মধ্যে ১০টি গানের গীতিকার চণ্ডীদাস, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফেরদৌস হাসান ভূঁইয়া ও আবিদ আনোয়ার এবং ১০টি গান শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার বিশ্বজিৎ রায়ের। আর এ ২০ গানেরই সুর করেছেন তিনি।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল বিশ্বজিৎ রায়কে সম্মাননা প্রদান। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা মাহমুদ সেলিম, সঞ্চালনা করেন বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল বিশ্বজিৎ রায়কে সম্মাননা প্রদান
সংগৃহীত

দ্বিতীয় পর্বে গানের পালা শুরু হয়েছিল গীতিকার মোহাম্মদ রফিকুজ্জামানের লেখা ‘সকালের খবরের কাগজ’ গানটি দিয়ে, গেয়ে শুনিয়েছেন বুলবুল ইসলাম। মকবুল হোসেন পরিবেশন করেছেন ‘ভাসান ঢালে ভাসে ডুবে’। ‘বইয়ের ভাঁজে রাখা লাল গোলাপ’ গেয়েছেন শারমীন সাথী ইসলাম।
অণিমা মুক্তি গমেজ গেয়ে শুনিয়েছেন ‘পাসপোর্ট খুইলা দেখরে মন। প্রিয়াংকা গোপ গেয়েছেন ‘এখনো বুকে আশা জেগে আছে’।

বিজন চন্দ্র মিস্ত্রীর কণ্ঠে ছিল ‘কতটুকু পাওয়া গেলে’। ‘শেষ কবে ঝরাপাতা’ গেয়েছেন চম্পা বণিক। ‘চলে যেতে বলে গেলে’ গেয়েছেন শহীদ কবির। মণিকা দেবনাথ শুনিয়েছেন চণ্ডীদাসের ‘এ ঘোর রজনী মেঘের ঘটা’। সুতপা রায় গেয়েছেন ‘তুমি চলে যাবার পর’। ‘ভেঙে যাবে কাচের চুড়ি’ গেয়েছেন তানজীনা করিম। মাহমুদুল হাসান গেয়েছেন ‘সারা বুকজুড়ে খালি পেয়ালার’। ‘বহুদিন পর পেয়েছি খুঁজিয়া’ গানটি করেছেন লীনা দাশ। ইফফাত আরা গেয়েছেন ‘সারা রাত জেগে থাকি’। মরমি ধারার গান ‘একপলকের এই দুনিয়া’ গেয়েছেন কানিজ খন্দকার। আবু হেনা মোস্তফা কামালের ‘দোহাই শ্রাবণ এসো না আমার দ্বারে’ গেয়েছেন সুস্মিতা সাহা। পূজন দাস গেয়েছেন ‘টিনের চালে টাপুরটুপুর’। রাজলক্ষ্মী সরকার গেয়েছেন ‘মুজিবের খুনে বাংলার মাটি’। ‘আজ আমি ভীষণ একা’ গেয়েছেন সুমনা দাশ। বিশ্বজিৎ রায় গেয়ে শুনিয়েছেন নিজের লেখা ও সুরে ‘মন মাঝিরে তুই কোথায়’।