আজ গাইবান্ধায় ‘লালজমিন’-এর ২৫০তম প্রদর্শনী
২৫০তম মঞ্চায়নের অপেক্ষায় নাটক লালজমিন। আজ গাইবান্ধার পুলিশ লাইনে মঞ্চায়ন হবে নাটকটির। পরের দিন গাইবান্ধা থিয়েটারের আয়োজনে গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে থাকছে আরও একটি প্রদর্শনী।
মান্নান হীরা রচিত ও সুদীপ চক্রবর্তী নির্দেশিত লালজমিন নাটকটিতে একক অভিনয় করেছেন মোমেনা চৌধুরী। ২০১১ সালের ১৯ মে নাটমণ্ডলে লালজমিন নাটকটি প্রথমবার মঞ্চায়িত হয়। এটি মঞ্চে এনেছে শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটার। এরপর থেকে চলছে একের পর এক প্রদর্শনী।
মোমেনা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে লালজমিন-এর ২৫০তম প্রদর্শনী আমার অভিনয় জীবনে অনেক বড় আনন্দের। তবে এই আনন্দের সঙ্গে মন খারাপের বিষয় হলো, কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে ২৫০তম প্রদর্শনীর মতো একটি আনন্দঘন মুহূর্তে দলের সব সদস্যকে পাচ্ছি না। কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে শূন্যনের মাত্র পাঁচজন সদস্য অংশগ্রহণ করছেন। লালজমিন নিয়ে এতটা পথ আসতে যাঁরা সহযোগিতা দিয়েছে, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ।’ মোমেনা চৌধুরী জানান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটারকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে, যাতে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাটকটির মঞ্চায়ন করা যায়।
নাটকের কাহিনিটা আর একবার মনে করা যাক। মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্য প্রকাশ লালজমিন। তেরো পেরিয়ে চৌদ্দ বছর ছুঁই ছুঁই এক কিশোরী কন্যার গল্প এটি। চৌদ্দ বছর ছুঁই ছুঁই কিশোরীর দুই চোখ জুড়ে মানিক বিলের লাল পদ্মের জন্য প্রেম।
সে তার কৈশোরেই শোনে বাবা-মায়ের মধ্যরাতের গুঞ্জন। শুধু দুটি শব্দ কিশোরীর মিস্তষ্কে আর মনে জেগে থাকে, মুক্তি-স্বাধীনতা। বাবা যুদ্ধে চলে যায় অগোচরে। কিশোরী নানা কৌশলে যুদ্ধে যাওয়ার আয়োজন করে। বয়স তাকে অনুমোদন দেয় না। এরপর যুক্ত হয়েছে বিগত ৪২ বছরে বাংলাদেশের যুদ্ধোত্তর সেই ঘাতক দালালদের বৃত্তান্ত ও একজন মুক্তিযোদ্ধা নারীর উপলব্ধি, যা দর্শকদের বর্তমানের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে। নাটকে মোমেনা চৌধুরীর অভিনয় দর্শক-শ্রোতার মন ছুঁয়ে যায়।