‘এখনো সন্ধান করি সেই যুদ্ধে নাম না জানা শহীদ পরিবারকে’

‘মহানন্দা ৭১’–এর শিল্পীরা

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর তীরে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি হানাদার। সেই যুদ্ধে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। তাঁর উদ্যোগেই মুক্তিবাহিনী ওই অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে। সেই যুদ্ধে শহীদ হন নাম না জানা প্রায় অর্ধশত যোদ্ধা। সেই ঘটনা নিয়েই নির্মিত হয়েছে পারফরম্যান্স শো ‘মহানন্দা ৭১’।

আজ ১৬ ডিসেম্বর সাধনার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে ‘মহানন্দা ৭১’। লুবনা মারিয়ামের নির্দেশনায় এটি নির্মাণ করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠন সাধনা, যার তত্ত্বাবধানে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সাধনার সাধারণ সম্পাদক, গবেষক লুবনা মারিয়াম জানান, মুক্তিযুদ্ধের ওই সময়ে তিনি সেই অঞ্চলে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় কাজ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এ প্রযোজনায় আমরা বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছি, যার উত্তর কেউ দিতে পারেনি। আমি এখনো সন্ধান করি সেই দিনের সেই যুদ্ধে নাম না জানা শহীদ পরিবারকে।’ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সরকারি উদ্যোগে ‘মহানন্দা ৭১’ নির্মাণ করা হয়।

লুবনা মারিয়াম
ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শরণার্থীশিবিরগুলোতে গিয়ে গিয়ে মানুষকে গান শুনিয়ে বেড়িয়েছেন একদল শিল্পী। তাঁদের একটি ট্রাকভ্যানই হয়ে উঠেছিল গণমানুষকে জাগানোর অস্ত্র। যুদ্ধ চলাকালে সেই দিনগুলোর বিরল ফুটেজগুলো সম্পাদনা করে তারেক মাসুদ নির্মাণ করেছিলেন তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কর্ম ‘মুক্তির গান’ নামের প্রামাণ্যচিত্র। ‘মুক্তির গান’–এর শিল্পীদের দলে লুবনা মারিয়ামও ছিলেন।