ঘরে বসে মুর্তজা বশীরের প্রদর্শনী

‘মুর্তজা বশীরের সৃষ্টি ও প্রসারিত মন’ শীর্ষক প্রদর্শনীপ্রথম আলো

গত ১৫ আগস্ট না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর। রেখে গেছেন প্রায় ৭০ বছরের শিল্পসাধনার ফসল। প্রয়াণের পর তাঁর শিল্পকর্মের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ের কামরুল হাসান প্রদর্শনশালায়। ‘মুর্তজা বশীরের সৃষ্টি ও প্রসারিত মন’ শীর্ষক সেই প্রদর্শনী নতুন এই সময়ে ঘরে বসেও যেন উপভোগ করা যায়, সে জন্য ভার্চ্যুয়াল ট্যুরের আয়োজন করা হয়েছে। আগ্রহীরা চাইলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে প্রদর্শনীটি দেখতে পারবেন।

গ্যালারির অনুভব পেতে পারেন ভার্চুয়াল ট্যুরে
প্রথম আলো

মুর্তজা বশীর নানান মাধ্যমে কাজ করেছেন। ড্রয়িং, ছাপচিত্র, জলরং, তেলরং, মিশ্রমাধ্যম ও ম্যুরাল। তেলরঙেই তাঁর সমধিক সিদ্ধি। দেয়াল, শহীদ-শিরোনাম, পাখা, রমণীসহ অনেক সার্থক চিত্রকর্মের শিল্পী। শক্তিশালী ড্রয়িং, রঙের সুমিত ব্যবহার এবং সমাজচেতনায় উদ্দীপিত দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর। চিত্রশিল্পের ভুবনের পাশাপাশি সাহিত্য ও ইতিহাস নিয়েও নিরলস গবেষণা করেছেন মুর্তজা বশীর। প্রদর্শনীতে চিঠিপত্র, স্কেচ, আলোকচিত্র, পোস্টার ও পেপারকাটিংয়ের সংকলনের মধ্য দিয়ে তাঁর গহন শিল্প-জিজ্ঞাসা, ইতিহাস সচেতনতা ও সমাজচিন্তার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।

এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে অনেকের ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা কিছু বিরল চিত্রকর্ম, ক্যাটালগ ও আলোকচিত্র। আয়োজকেরা আশা করছেন বৈচিত্র্যময় ও বহুকৌণিক শিল্পগুচ্ছ থেকে মুর্তজা বশীরের বৃহত্তর ভুবনের সাক্ষাৎ লাভ করবেন দর্শক। এই প্রদর্শনীর জন্য শিল্পকর্মগুলো দিয়েছেন আবুল হাসনাত, মতিউর রহমান, মুনতাসীর মামুন ও ফাতিমা মামুন, আবুল খায়ের, আশফাকুর রহমান, জাফর ইকবাল, মাহবুব উর রহমান, নজরুল হুসাইন, সানাউল আরেফিন, সৈয়দ ইবনে আব্বাস, তারিক সুজাত ও মোহাম্মদ আসাদ। প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক ও শূন্য আর্ট স্টুডিও।

এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে অনেকের ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা কিছু বিরল চিত্রকর্ম, ক্যাটালগ ও আলোকচিত্র।
ছবিঃ সংগৃহীত
যেকোনো দেশ থেকে যে কেউ লিংকে ক্লিক করলে সময় হিসেবে দিনের আলো বা রাতের আবহে দেখতে পাবেন ছবি। খুব কাছ থেকে আবার দূর থেকে থ্রিডি গ্যালারি ও ডলহাউস ভিউতে দেখতে পাবেন। এই প্রদর্শনী ভিআর বক্স থ্রিডিতে দেখা যাবে

বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী প্রথম আলোকে জানালেন, ভার্চ্যুয়াল ট্যুর নির্মাণে তাঁদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে আর্টকন। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশে শিল্পকলার জগতে নবমাত্রা সঞ্চার করবে। এ ছাড়া কিউআর কোড স্ক্যান করে প্রবেশ করলে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে প্রদর্শনী দেখার আবহ টের পাবেন।

আর্টকনের প্রতিষ্ঠাতা এ আর কে রিপন প্রথম আলোকে জানান, ভার্চ্যুয়াল ট্যুরের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন তাঁরা। এখানে যেকোনো দেশ থেকে যে কেউ লিংকে ক্লিক করলে সময় হিসেবে দিনের আলো বা রাতের আবহে দেখতে পাবেন ছবি। খুব কাছ থেকে আবার দূর থেকে থ্রিডি গ্যালারি ও ডলহাউস ভিউতে দেখতে পাবেন। এই প্রদর্শনী ভিআর বক্স থ্রিডিতে দেখা যাবে। এ ছাড়া সংরক্ষণও করা যাবে।

প্রদর্শনী চলবে ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভার্চ্যুয়াল ট্যুর দেখতে কোড স্ক্যান করুন অথবা ভিজিট করুন এখানে

ভার্চ্যুয়াল ট্যুর দেখতে কোড স্ক্যান করুন