‘চিত্রাঙ্গদা’র মঞ্চায়নে স্বপ্নদলের প্রত্যাবর্তন

স্বপ্নদলের চিত্রাঙ্গদা নাটকের দৃশ্য।সংগৃহীত

করোনা মহামারিতে প্রসেনিয়াম মঞ্চের নিয়মিত প্রদর্শনীর বাধা কাটিয়ে দীর্ঘ বিরতির পর মঞ্চে ফিরেছে নাট্যসংগঠন স্বপ্নদল। তাদের মঞ্চ-প্রত্যাবর্তনে ‘চিত্রাঙ্গদা’র মঞ্চায়ন হলো শুক্রবার সন্ধ্যায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরায়ত সৃষ্টি ‘চিত্রাঙ্গদা’র গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। এদিন প্রযোজনাটির ৮১তম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

রবীন্দ্রনাথ মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা-উপাখ্যান অবলম্বনে ১৮৯২-এ কাব্যনাট্যরপে এবং ১৯৩৬-এ নৃত্যনাট্যরূপে ‘চিত্রাঙ্গদা’ রচনা করেন। স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি নির্মিত হয়েছে কাব্যনাট্য পাণ্ডুলিপি অবলম্বনে। এর নাট্যকাহিনিতে উপস্থাপিত হয় মহাবীর অর্জুন সত্যপালনের জন্য এক যুগ ব্রহ্মচর্যব্রত গ্রহণ করে মণিপুর বনে এসেছেন। মণিপুর-রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদা, অর্জুনের প্রেমে উদ্বেলিত হলেও অর্জুন চিত্রাঙ্গদাকে প্রত্যাখ্যান করেন। অপমানিত চিত্রাঙ্গদা প্রেমের দেবতা মদন এবং যৌবনের দেবতা বসন্তের সহায়তায় এক বছরের জন্য অপরূপ সুন্দরীতে রূপান্তরিত হন। এবার অর্জুন যথারীতি চিত্রাঙ্গদার প্রেমে পড়েন।

শুক্রবার ছিল ৮১তম প্রদর্শনী
সংগৃহীত

কিন্তু অর্জুনকে লাভ করেও চিত্রাঙ্গদার অন্তর দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত হতে থাকেÑঅর্জুন প্রকৃতপক্ষে কাকে ভালোবাসেন, চিত্রাঙ্গদার বাহ্যিক রূপ নাকি তার প্রকৃত অস্তিত্বকে? এভাবে ‘চিত্রাঙ্গদা’ পৌরাণিক কাহিনির আড়ালে যেন একালেরই নর-নারীর মনোদৈহিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মানাবস্থানের প্রেরণারূপে উপস্থাপিত হয়।

স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি ২০১১-এ সার্ধশত রবীন্দ্রবর্ষ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিত হয়
সংগৃহীত

‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনার অভিনয় করেছেন সোনালী, জুয়েনা, শিশির, শ্যামল, অর্ক, হ্যাপী, সুমাইয়া, সামাদ, ঊষা, জেবু, আলী, বিপুল, মাধুরী, মাসুদ, আসিফ, সাজ্জাদ, মামুন, বিমল, অনিন্দ্য প্রমুখ।

সংগৃহীত

স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি ২০১১-এ সার্ধশত রবীন্দ্রবর্ষ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিত হয়।