মা নাবিলার সঙ্গে শুটিংয়ে গেল সাড়ে তিন মাসের মালহার
পয়লা জুলাই আয়নাবাজিখ্যাত অভিনেত্রী নাবিলার জন্য ছিল স্বপ্নের মতো একটি দিন। তাঁর ঘর আলো করে আসে মালহার মাসুমা হক। দীর্ঘ প্রায় এক বছর সন্তানের জন্য ক্যামেরা থেকে দূরে ছিলেন।
এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাড়ে তিন মাসের মালহারকে নিয়েই শুটিংয়ে ফিরবেন। আজ রোববার থেকে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের অংশ নিলেন নাবিলা। তিন দিন শুটিং চলবে।
নাবিলা বলেন, ‘কাজ করব ঠিক করেছি। কিন্তু খুব যে কাজ করতে পারব তা না। আমার মেয়ে এখনো ছোট। শুটিং করতে রাজি হয়েছি কারণ, আমার মেয়েকে রাখার সব ব্যবস্থা করবে ইউনিট। শুটিংয়ে আমাকে আলাদা রুম দেবে। মেয়েকে পুরো সময় দিয়েই শুটিং করব। কিন্তু এখনই পুরোদমে শুটিং করতে চাই না। বাবু একটু বড় হলেই নিয়মিত শুটিং করব। আমাকে ছাড়া সে একদমই থাকে না। তাকে বাসায় রেখে যাওয়াও অসম্ভব।’
নাবিলার জীবন আমূল বদলে দিয়েছে মালহার। মেয়েকে ঘিরেই তাঁর সব চিন্তা। মেয়েকে নিয়ে কাটানো দিনগুলো সম্পর্কে নাবিলা বলেন, ‘আস্তে আস্তে স্যাটেল করছি। একটু একটু করে বুঝে উঠছি। প্রথম দেড় মাস অনেক কষ্ট করেছি। এখন দিন দিন মেয়েকে বুঝতে পারছি। তার একটু একটু করে বড় হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’
মা হওয়ার পর নিজের ভেতর পরিবর্তন কী টের পাচ্ছেন? এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আগে সব সময় কাজের মধ্য থাকতাম, বাইরে যেতাম, নিজের মতো করে ঘুরতাম, আড্ডা দিতাম, ঘরের মধ্যে থাকলে রান্নার চেষ্টা করতাম। কিন্তু এখন কিছুই করতে পারি না। এখন ২৪ ঘণ্টা আমার মেয়েকেই সময় দিতে হয়। লাইফটা পুরোই পরিবর্তন হয়ে গেছে। জীবনটা এনজয় করছি, আবার ক্লান্তিও কাজ করছে। কারণ, আমাদের তিনজনের সংসার। মালিহার বাবা অফিসে গেলে আমাকে একাই সব সামলাতে হয়। কিছুটা কষ্ট হলেও মেয়েকে নিয়ে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটাচ্ছি।’
সৌদি আরবে বড় হয়েছেন নাবিলা। ২০০০ সালে জেদ্দা থেকে স্থায়ীভাবে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। দেশে ফেরার আট মাসের মাথায় তাঁর বাবা মারা যান। বড় সন্তান হিসেবে সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁকে। ২০০৬ সাল থেকে শুরু করেন উপস্থাপনা। এরপর ধীরে ধীরে অভিনয়। ২০১৮ সালে জোবায়দুল হককে বিয়ে করেন নাবিলা। প্রায় ২০ বছরের ভালো লাগার পরিণাম এ বিয়ে। তাঁর স্বামীও জেদ্দায় থাকতেন। সেখানেই তাঁদের প্রথম পরিচয়।