যথাযথ পারিশ্রমিক দিলে নৃত্যশিল্পীরা ভালো থাকবেন

প্রেমা। সংগৃহীত

জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ১০ দিনের ‘মুজিব চিরন্তন’–এর সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা ও তাঁর দল ভাবনা। এবার নতুন কাজের পরিকল্পনা করছিলেন এই শিল্পী। বৈশাখ, ঈদ ও বিজয় দিবসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনার সবই যেন এখন অনিশ্চিত। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দলের কর্মী ও দেশের নৃত্যশিল্পীরা আবারও বেকার হয়ে পড়লে কী হবে ভেবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত তিনি।

ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নতুন কোনো নৃত্যনাট্য মঞ্চে তোলা হচ্ছে না প্রেমার। তিনি বলেন, ‘অডিটরিয়ামগুলো খুলছে না, খুললেও অনেক বিধিনিষেধ আছে। নৃত্যনাট্য অনেক খরচ সাপেক্ষ, সেই অর্থে পৃষ্ঠপোষক পাওয়া যায় না। ফলে এখন নতুন নৃত্যনাট্য না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ গত বছর করোনার প্রকোপে অনেক নৃত্যশিল্পী বেকার হয়ে পড়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এ বছরের প্রস্তুতি কেমন? প্রেমা বলেন, ‘ঘরে বসে থাকাটা কষ্টের। এই সময়ে যদি আমরা অনলাইনে কোনো কাজের সাপোর্ট বা সরকারের সহযোগিতা পাই, নাচের ছেলেমেয়েদের কাছে পৌঁছে দেব। সবাইকে অনুরোধ করব, আমাদের কাজগুলোকে বিনা মূল্যের না ভেবে পারিশ্রমিক দিন, তাতে শিল্পীরা ভালো থাকবেন।’

প্রেমা। সংগৃহীত

‘মুজিব চিরন্তন’–এ পরিবেশনার সার্থকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার যেকোনো কাজে আমার চিন্তাধারার প্রভাব পড়ে। এই আয়োজনে দেশের নৃত্যাঙ্গনের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে মানুষের সামনে নিজেদের কাজ তুলে ধরতে পেরেছি। সৃজনশীল এ আয়োজনে পারফর্ম করতে পেরে আমি গর্বিত।’