যে নাটক দেখে আপ্লুত আসাদুজ্জামান নূর
‘আয়নাঘর’ নাটক দেখে কেঁদে ফেলেন নাট্যজন ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ধর্ষণবিরোধী বক্তব্য নিয়ে মঞ্চে আসা নাটকটি ১৩ নভেম্বর প্রথমবার প্রদর্শিত হয় জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে। নাটক দেখে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত নারীদের কথা স্মরণ করে কেঁদে ফেলেন তিনি।
‘আয়নাঘর’ ধর্ষণবিরোধী বক্তব্য নিয়ে লেখা নতুন মঞ্চনাটক। রেজানুর রহমানের রচনা ও নির্দেশনায় এটি এথিক নাট্যদলের অষ্টম প্রযোজনা। নাটক শেষে আসাদুজ্জামান নূর তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আয়নাঘর সমসাময়িক বাস্তবতার ওপর লেখা একটি নতুন মঞ্চনাটক। নাটকটি পরিবারের সবাই মিলে দেখা উচিত।’
উদ্বোধনী আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ বক্তব্য দেন।
নাটকটি রচনা ও নির্দেশনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন রেজানুর রহমান। নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন সুমনা সোমা, মাহবুবা রেজানুর, কাজী প্যারিস, সুকর্ন হাসান, মিন্টু সর্দার, মনি কাঞ্চন, সাবা নুর, ইমতিয়াজ আসাদ, সবুজ রহমান, প্রদীপ কুমার প্রমুখ। নাটকটির আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন ঠান্ডু রায়হান। নতুন স্বাভাবিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে নাটক প্রদর্শনী।
সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার এবং সরকারি ছুটির দিনে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার তিনটি হলেই নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। নতুন স্বাভাবিকে মিলনায়তনগুলো খোলার সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চেও এসেছে নতুন নাটক। ‘আয়নাঘর’ নতুন নাটকের মধ্যে একটি। নাটকটি প্রসঙ্গে নাট্যকার ও নির্দেশক রেজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন পরিবারই হলো আমাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল। যে পরিবারে পারস্পরিক বন্ধন যত বেশি, সেই পরিবারের মানুষগুলো ততই সুখী। এমনই এক পরিবারের গল্প নিয়েই নতুন মঞ্চ নাটক “আয়নাঘর”-এর কাহিনি বিধৃত হয়েছে; যে পরিবারে পারস্পরিক বন্ধন অনেক জোরালো ছিল।
কিন্তু একটি ধর্ষণের ন্যক্কারজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে অসম্মান, স্বার্থপরতা, অবজ্ঞা আর অনিয়মের পাকচক্রে পড়ে পরিবারটি। একসময় নিজে যেমন কঠিন সংকটের মুখোমুখি দাঁড়ায়, তেমনি প্রিয় মাতৃভূমির পজিটিভ অনেক অর্জনকেও ম্লান করে দেয়।’